টাকাটা মসজিদে হতাহতদের দিতে চায় ‘ডিম বয়’
তহবিলে সংগৃহীত টাকার বেশিরভাগটাই ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে চায় ‘ডিম বয় উইল কনোলি। গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের মাথায় ডিম ভেঙে আলোচনায় আসেন কনোলি।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর মুসলমানদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন ফ্রেজার অ্যানিং।
দাতব্য কাজে অর্থসংগ্রহের প্ল্যাটফর্ম ‘গো ফান্ড মি’তে উইল কনোলির আইনি সহায়তার ব্যয় মেটাতে ও আরো প্রচুর ডিম কেনার জন্য তহবিল সংগ্রহের ঘোষণা দেন তার (কনোলির) এক সমর্থক।
এ পর্যন্ত সেখানে ৪৫ হাজার ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে। ‘গো ফান্ড মি’র পাতায় বলা হয়েছে, কনোলির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সে এই অর্থের সিংহভাগ ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলায় ভুক্তভোগীদের উদ্দেশে দান করে দিতে চেয়েছে।
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের মাথায় ডিম ভাঙে ওই কিশোর। শুধু তাই নয় বিষয়টি নিজের মোবাইলে ভিডিও করে কনোলি। তবে ফ্রেজার নিজেই ওই কিশোরকে মারধর করেন।
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার পর মুসলমানদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং। টুইট বার্তায় সিনেটর বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের রাস্তায় ওই ঘটনার প্রকৃত কারণ হচ্ছে অভিবাসন কর্মসূচি, যা উগ্র মুসলিমদের নিউজিল্যান্ডে থাকার অনুমোদন দিচ্ছে।’
এর পরই বেশ তোপের মুখে পড়েন ফ্রেজার অ্যানিং। এরই প্রতিবাদে ওই কাণ্ড ঘটায় কিশোর উইল কনোলি। তাকে পুলিশ আটকও করে পরে ছেড়ে দেয়। তবে সামাজিক মাধ্যমে এরই মধ্যে ওই কিশোরকে নিয়ে রীতিমতো হৈ চৈ শুরু হয়ে গেছে।
নিজের টুইটারে কনোলি ওই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছে। কনোলি লিখেছে, ‘ওই মুহূর্তে মানুষ হিসেবে আমি গর্বিত। আপনাদের বলতে চাই, মুসলমানরা সন্ত্রাসী নয় এবং সন্ত্রাসবাদের কোনো ধর্ম নেই। যারা মুসলমানদের সন্ত্রাসী সম্প্রদায় মনে করে, তাদের মাথা অ্যানিংয়ের মতোই শূন্য।’
এদিকে সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের সমালোচনা করেছেন খোদ অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে গুলি করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে এক সন্ত্রাসী। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছে। ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে ওই সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। ট্যারেন্ট অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
সেখানকার আল নূর মসজিদেই জুমার নামাজ পড়ার জন্য রওনা দেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। পাঁচ মিনিট দেরি করায় ভয়াবহ ঘটনা থেকে বেঁচে যান তাঁরা। পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হোটেলে ফিরে যান ক্রিকেটাররা।