তাঁরা ছিলেন ‘নীতিবান ও ভদ্র’, মসজিদে নিহত বাংলাদেশিদের প্রশংসা
গত ১৫ মার্চ ছিল জাকারিয়া ভূঁইয়ার জন্মদিন। অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। জুমার নামাজ আদায় করতে ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে যান। কে জানতো জন্মদিনেই বিদায় নেবেন ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালায় এক দুর্বৃত্ত। ওই ঘটনায় ৫০ জন নিহত হয়। বাংলাদেশের জাকারিয়া তাঁদেরই একজন।
নিহত ৫০ জনকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে সংবাদ মাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড। কথা বলেছে জাকারিয়ার সহকর্মী ও বন্ধুদের সঙ্গে। সবার এক কথা, জাকারিয়া ছিলেন ‘সত্যিকারের বন্ধু এবং অসাধারণ কর্মী।’
পেশায় ওয়েল্ডার জাকারিয়া ছিলেন হাসিখুশি। তাঁর সহকর্মীরা জানান, জাকারিয়া খুব সাদাসিধে ভাবে চলতেন। টাকা জমাতেন। দেশে টাকা পাঠানোর জন্য খুব পরিশ্রম করতেন।
ম্যাকনেব নামে জাকারিয়ার এক সহকর্মী বলেন, ‘অন্তর থেকে বলছি সত্যিকারের বন্ধু আর অসাধারণ সহকর্মী হারালাম।’ তিনি আরো বলেন, ‘জাকারিয়া সব সময় ইতিবাচক থাকতেন। যেটা আমি আমার জীবনে কাজে লাগাব।’
জাকারিয়ার আরেক বন্ধু স্কট কের বলেন, ‘জাকারিয়ার মতো এমন একজনের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। দারুণ নীতিবোধ আর সাহস নিয়ে কাজ করতেন তিনি। সত্যিকারের মুসলমানদের প্রতিনিধি ছিলেন জাকারিয়া।
ওই ঘটনায় নিহত আরেক বাংলাদেশি ওমর ফারুক স্টিলের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। অনেক স্বপ্ন ছিল, পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ঘাতকের বুলেটে সব শেষ।
ফারুকের সহকর্মী রোজওয়ার্নে বলেন, ‘লোকটা অনেক শান্ত ছিল, অনেক ভদ্র ছিল।’
ওই ঘটনায় জাকারিয়া ও ফারুকসহ পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হন। ওই সময় টেস্ট খেলতে ক্রাইস্টচার্চে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জুমার নামাজ আদায় করতে ওই মসজিদে রওনা দেন তামিম-মুশফিকরা। তবে মসজিদের কাছাকাছি যেতেই এক নারী সাবধান করে দেন। পরে ক্রিকেটাররা দ্রুত হোটেলে ফিরে যান।