হিজাবে নিউজিল্যান্ডের নারীরা, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
নিউজিল্যান্ডের নারীদের মাথায় ছিল হিজাব। মুসলমানদের পাশে দাঁড়াতে, সমর্থন দিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কিউই নারীরা মাথায় হিজাব দেন। আজ শুক্রবার দিনভর নারীরা এভাবেই ছিলেন।
গত ১৫ মার্চও ছিল শুক্রবার। জুমার নামাজের প্রস্তুতির সময় ক্রাইস্টচার্চে এক দুর্বৃত্ত দুই মসজিদে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে ৫০ জন নিহত হয়।
আজ নিউজিল্যান্ডে নারীদের হিজাব পরে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছবি দিতে দেখা গেছে। এ সময় তারা বন্দুক হামলায় আক্রান্ত মুসলিমদের প্রতি ভালবাসা ও সমর্থন জোগানো কথাবার্তা লেখেন এবং বর্বর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান।
অকল্যান্ডের চিকিৎসক থায়া আসম্যান ‘হিজাব ফর হারমোনি’ (সম্প্রীতির জন্য হিজাব) নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ইভেন্ট’ চালু করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমি এক মুসলিম নারীকে খবরে বলতে দেখলাম, তিনি ভয়ে হিজাব পরে বাইরে যাচ্ছেন না।’
আসম্যান বলেন, ‘আমি এই ইভেন্টের মাধ্যমে বলতে চাই, আমরা তোমাদের সাথে আছি। তোমরা এখানে নিজের ঘরের মতো করে বসবাস করো। আমরা তোমাদের ভালবাসি, সমর্থন করি এবং শ্রদ্ধা করি।’
হামলার পরই নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তখন তাঁর মাথায় ছিল ওড়না। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে তিনি বক্তব্য শুরু করেন ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে।
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে আজ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নিহতদের স্মরণে শোকসভাও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। উপস্থিত সব নারীদের মাথায় ছিল হিজাব এবং ওড়না।