‘ডিম মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে’
অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের মাথায় ডিম মারার পর এই প্রথম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছে উইল কনোলি। রাতারাতি দুনিয়াজোড়া ‘ডিম বয়’ নামে খ্যাতি পেয়ে যায় কিশোরটি।
তবে এ পর্যন্ত গণমাধ্যমগুলো তার পরিবারের বরাত দিয়েই খবর প্রকাশ করে আসছিল, এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল টেন এর ‘দ্য প্রজেক্ট’ অনুষ্ঠানে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে সে।
গতকাল সোমবার সাক্ষাৎকারে ১৭ বছর বয়সী কনোলি বলেছে, সে সিনেটরের মাথায় ডিম ভাঙার ঘটনায় সে অনুতপ্ত। নিতান্তই বন্ধুদের সঙ্গে মজা করার জন্য এ কাণ্ড ঘটিয়েছিল।
নিজেকে কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর নয় বরং ‘মানবতাবাদী’ হিসেবে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে কনোলি।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনায় মুসলিম অভিবাসীদের দায়ী করে বক্তব্য দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সিনেটরের মাথায় ডিম ভাঙে এই বালক। গণমাধ্যমের সামনেই এমন কাণ্ড ঘটায় সে। এ নিয়ে তার নামে মামলাও হয়েছে।
কনোলির ভাষ্য হলো, ‘আমি বুঝছি আমি যা করেছি সেটা মোটেও ঠিক হয়নি এবং কিছু মানুষ কেন বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তাও আমি বুঝতে পারছি। যাই হোক না কেন কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করার কোনো কারণ নেই।’
‘ডিম বয়’ এও জানিয়েছে যে তার মা-ও তার এই কাজে সায় দেবেন না।
টিভি অনুষ্ঠানে উইল কনোলি বলেছে, ‘আমি যেটা করেছি সেটা ঠিক নয় তবে এই ডিম মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। অনেকে অর্থও দিয়েছেন এবং সেটা হাজার হাজার ডলার।’
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে অস্ট্রেলিয়ার এক নাগরিকের ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর যখন চারিদিকে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছিল সবাই তখন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং মুসলিম অভিবাসীদের দায়ী করে বক্তব্য দেন। এক অনুষ্ঠানে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে অ্যানিংয়ের বক্তব্য শুনে তার মাথায় ডিম ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় বালক উইল কনোলি।