ক্রাইস্টচার্চে হত্যাকাণ্ড

‘ইউরোপের কট্টরপন্থীদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল ব্রেন্টনের’

Looks like you've blocked notifications!
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলায় বিচারাধীন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। ছবি : সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুকধারী হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্টের ইউরোপীয় কট্টরপন্থী আন্দোলন ‘জেনারেশন আইডেন্টিটি’র সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল বলে জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ।

২০১৮ সালের শুরুর দিকে হুবহু ক্রাইস্টচার্চের হামলাকারীর একই নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ‘জেনারেশন আইডেন্টিটি’র অস্ট্রেলিয়া শাখার প্রধান মার্টিন সেলনার দেড় হাজার ইউরো অনুদান গ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ খবর দিয়েছে।

সেবাস্তিয়ান কুর্জ বলেন, ‘আমরা এখন নিশ্চিত যে নিউজিল্যান্ডের হামলাকারী আর অস্ট্রিয়ার জেনারেশন আইডেন্টিটির মধ্যে আর্থিক সহায়তা বা লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে।’ এ সময় তিনি অস্ট্রিয়া থেকে এই ‘আইডেন্টিটি জেনারেশন’কে উৎখাত করার কথাও জানান।

‘জেনারেশন আইডেন্টিটি’ বা ‘আইডেন্টিটি মুভমেন্ট’ শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারকারী ও কট্টর জাতীয়তাবাদী একটি আন্দোলন। ২০০৩-০৪ সালের দিকে এটি মূলত ফ্রান্সে যুবকদের মধ্যে শুরু হয়। সাম্প্রতিককালে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাজুড়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই আন্দোলন। এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে চরম ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া ইউরোপকে পরিকল্পিতভাবে শ্বেতাঙ্গমুক্ত করা হচ্ছে এবং অশ্বেতাঙ্গরা তাদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে এমন ষড়যন্ত্রতত্ত্বে বিশ্বাস করেন এই আন্দোলনের সংগঠন ও সমর্থকরা।

ক্রাইস্টচার্চে হামলার আগ মুহূর্তে ৭৩ পাতার একটি ইশতেহার প্রকাশ করে ব্রেন্টন ট্যারান্ট। ওই ইশতেহারের বক্তব্যের সঙ্গে কট্টর শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারকারী এই দলটির মতাদর্শিক অবস্থান ও বক্তব্যের সঙ্গে মিল রয়েছে। ট্যারান্টের ইশতেহারে জেনারেশন আইডেন্টিটির বক্তব্যই প্রতিফলিত হয়েছে বলে সেসময় অনেকে বলেছিলেন।

গত ১৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে নির্বিচারে গুলি করেন। এতে ৫০ জন নিহত হয়। নিউজিল্যান্ড পুলিশের হাতে আটক রয়েছেন ট্যারান্ট। এদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি রয়েছে।

টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য তখন নিউজিল্যান্ডে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওই দুই মসজিদের একটিতে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য রওনা দেন তামিম-মুশফিকরা। কিন্তু মাঝপথে এক নারী তাঁদের সাবধান করে দেন। পরে ক্রিকেটাররা দ্রুত হোটেলে ফিরে যান।