সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব পাস
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা নিয়ে করা মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্যে বুধবার অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যরা দেশটির কুইন্সল্যান্ডের কট্টর ডানপন্থী সিনেটরের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছেন। তিনি বলেছিলেন, নিউজিল্যান্ডে মুসলিম অভিবাসীদের ঠাঁই দেওয়ার ফল ক্রাইস্টচার্চের এই হামলা।
সব বড় ও ছোট দলের রাজনীতিবিদদের সর্বসম্মত কণ্ঠভোটে উচ্চকক্ষ সিনেটে কুইন্সল্যান্ডের সিনেটরের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব পাস হয়।
বিদ্বেষমূলক ওই বক্তব্য দেওয়ার পর সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করেন। নিউজিল্যান্ডে গত ১৫ মার্চে দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন প্রাণ হারান।
সিনেটে রক্ষণশীল লিবারেল-ন্যাশনাল সরকারের নেতা ম্যাতিয়াস কোরম্যান বলেন, ‘সিনেটর অ্যানিংয়ের মন্তব্যটি অত্যন্ত খারাপ ও বিভেদমূলক। এ ধরনের লোক আমাদের সমাজের জন্য বিপজ্জনক এবং সবার কাছেই অগ্রহণযোগ্য।’
সিনেটে বিরোধী দলীয় নেতা লেবার পার্টির পেনি ওয়ং বলেন, ‘যে ব্যক্তি অসহনশীলতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে দুর্বল করতে চাইবে আমরা অবশ্যই তাঁকে প্রত্যাখ্যান করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাক স্বাধীনতা ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালায় অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট। এতে ৫০ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সবাই যখন হতাহতের পাশে দাঁড়াচ্ছিলেন তখন অস্ট্রেলীয় সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং বলেন, মুসলিম অভিবাসন ও সহিংসতা যে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, ক্রাইস্টচার্চ হামলার পরও কি কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে?
এরপর তার বক্তব্যের প্রতিবাদে এক অনুষ্ঠানে তাঁর মাথায় ডিম ভাঙে ১৭ বছরের অস্ট্রেলীয় কিশোর উইল কনোলি। তৎক্ষণাৎ তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন সিনেটর অ্যানিং। ওই কিশোরকে চড়-থাপ্পড় মারার কারণেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।