‘বাবুল বাচ্চা ছেলে, ওর বিষয়ে কিছু বলতে চাই না’

Looks like you've blocked notifications!

‘বাবুল বাচ্চা ছেলে। ওর বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কয়েক বছরে যেভাবে বাংলার চারদিকে উন্নয়ন করেছেন, তাতে আমার জয় অনেক সহজ হয়ে গেছে।’

তারকা সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে এভাবেই কথা বললেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন মুনমুন সেন। ওই আসনেই তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়।

ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয়ই। গতকাল মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সুচিত্রাকন্যা মুনমুন সেন।

ধামসা মাদল, আদিবাসী নৃত্যের তালে তালে মিছিল করে এসে মনোনয়ন জমা দেন মুনমুন। মনোনয়ন জমা দিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রচারে। চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারের কাজ। এবারের নির্বাচনে প্রচারের কাজে বিন্দুমাত্র ঘাটতি রাখতে রাজি নন মুনমুন। কারণ এবারে তাঁর অন্যতম প্রতিপক্ষ তারকা শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়।

চৈত্রের কাঠফাটা গরমেও মুনমুন সকাল থেকে সন্ধ্যায় প্রচারের ময়দানে সমান সক্রিয়। মুনমুন বলেন,‘আমি এর আগে লাল মাটির দেশ বাঁকুড়াতেও ৪৮ ডিগ্রি গরমের মধ্যেও প্রচার করেছি। মানুষের মাঝে ছুটে গিয়েছি বিভিন্ন সময়ে। তাই গরম-টরমে আমার অভ্যাস আছে, গরমে কোনো সমস্যাই হচ্ছে না, সকাল থেকে সন্ধ্যা প্রচার করছি। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছি। বেশ ভালোই তো লাগছে।’ 

মুনমুন জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকাজের জন্য তাঁর জয় পাওয়া সহজ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘যেমন এর আগে বাঁকুড়াতেও এই সুবিধাটা আমি পেয়েছিলাম।’ বাঁকুড়া কেন্দ্রে গতবার তৃণমূলের জয়ী সংসদ সদস্য ছিলেন মুনমুন সেন। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের নিরিখে মানুষ আমাকে সমর্থন করেছিলেন। কারণ, মানুষ তো মমতাকে দেখে ভোট দেন। এবারে আসানসোল কেন্দ্রের সব জায়গায় আমার ব্যানারে মমতার সঙ্গে সঙ্গে আমার মা সুচিত্রা সেনের ছবিও রয়েছে। আমি অবশ্য এটা এবার অ্যালাও করেছি। কারণ, আমার মায়ের সঙ্গে বাঙালির একটা আবেগ তো জড়িয়ে আছেই। গত লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য আমার মায়ের ছবি ব্যবহার করিনি। তার কারণ, সেই সময় আমার মা সদ্য মারা গিয়েছিলেন। আমি নিশ্চিত এবারে এই কেন্দ্রে আমার ১০০ শতাংশ জয় আসবেই।’

মুনমুন বলেন, ‘এখন তো চারদিকে শুধু মমতা আর মমতা। সংসদে আমার অনেক বন্ধুবান্ধব আছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা নিজেদের মধ্যে গল্প করতাম। সবাই শুধু মমতার কথা বলত। আসলে সারা ভারতেই তাঁর জনপ্রিয়তা। দেশের সব বিরোধী দলগুলোই তাকে চাইছে। নতুন সরকার গঠনে এবার মূল ব্যাটনই থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।’

ভারতের কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে মুনমুন দক্ষ রাজনীতিকের মতো বললেন, ‘ভারতে আজ কোথায় আচ্ছে দিন? হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তো বিজেপি সিপিএম বলে কোথাও কিছু নেই। তাই রাজ্যের ৪২টি আসনেই আমাদের (তৃণমূল কংগ্রেসের) জয় অনিবার্য।’ এই আসানসোল কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে তিনি আসানসোলের মানুষের উন্নয়নের জন্যই কাজ করতে চান বলে জানালেন।