ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডে নাগরিকত্বের সুযোগ
পৃথিবী প্রতিদিনই পরিবর্তিত হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে না পেরে নানারকম সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত। সারা পৃথিবী থেকে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষ চলতি বছর ইমিগ্র্যান্ট হয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে বসবাস ও চাকরি করার সুযোগ পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, আর্থিক সামর্থ্যের মাপকাঠিতে নির্ধারণ হবে যে কারো স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু।
এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ, সাউথ এশিয়ান ল ইয়ার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের মাইগ্রেশন সংক্রান্ত আইনগত পরামর্শ দিয়ে আসছেন তিনি।
আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং কিছু পদ্ধতি ও আইন মেনে আবেদন করে পরিবারসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই মাইগ্রেশন করার সুযোগ নিতে পারেন।
ঐতিহ্যবাহী যুক্তরাজ্যে কাজ ও পড়াশোনার সুযোগ
প্রায় ৭৫ লাখ ব্রিটিশ নাগরিক বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন, যা মোট জনগণের প্রায় ১৩ শতাংশ। যুক্তরাজ্য সরকার ভিসার প্রক্রিয়াটিকে পয়েন্টভিত্তিক পরিচালনা করে থাকে।
যারা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল ব্যবসায়ী বা খুবই দক্ষ, তাদের জন্য দেশটির রয়েছে টায়ার-১ ভিসা। টায়ার-২ ভিসা দেওয়া হয় মূলত সেই সব দক্ষ শ্রমিকদের, ইংল্যান্ডে যারা দুষ্প্রাপ্য। টায়ার-৩ ভিসা পদ্ধতি এরই মাঝে বাংলাদেশের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইকোনমিক এরিয়ার বাইরের দেশগুলোর ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে টায়ার-৪ ভিসা। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, লন্ডন অব ইকোনমিকসসহ পৃথিবীর নামীদামি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে দেশটিতে।
টায়ার-৫ মূলত সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভিসা প্রোগ্রাম। ক্রিয়েটিভ, দক্ষ খেলোয়াড়, বিভিন্ন চ্যারিটি ধর্মীয় কাজে সম্পৃক্ত ব্যক্তি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তির আওতায় পড়া ব্যক্তি, ইয়ুথ মোবিলিটি স্কিম, বা কাজের জন্য যাঁরা যুক্তরাজ্যে যেতে চান তাঁরাই মূলত এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। ১২ থেকে ২৪ মাসের জন্য এ ভিসা দেওয়া হয়। ভিসাটি নবায়নযোগ্য।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে শুধু এক হাজার ৮৯০ পাউন্ড বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা জমা থাকতে হবে আবেদনকারীর। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
ব্রিটেনের সব নাগরিক ফ্রি মেডিকেল কেয়ারের আওতায় থাকেন। অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ডে জীবনযাপনের ব্যয় অনেক কম।
গন্তব্য হতে পারে কানাডা
পৃথিবীর সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী দেশগুলোর একটি কানাডা। কানাডায় যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণের এখনই সময়। নতুন ইমিগ্র্যান্টদের জন্য এরই মধ্যে কানাডার ফেডারেল এবং প্রভিনশনাল সরকার তাদের কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে। কানাডায় ইমিগ্রেশন করার ৬০টির ওপর পদ্ধতি রয়েছে। প্রফেশনালদের জন্য অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ফেডারেল ও কুইবেক স্কিল্ড প্রোগ্রাম, প্রভিন্সশনাল নমিনি প্রোগ্রাম, কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস ও ফেডারেল সেলফ এমপ্লয়েড প্রোগ্রাম।
এ ছাড়া রয়েছে ফ্যামিলি ক্লাস স্পন্সরশিপ প্রোগ্রামস। কানাডায় সর্বাধিক সংখ্যক আবেদনকারী এফএসডব্লিউ অ্যান্ড এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে আবেদন করছে। তা ছাড়া যাদের বয়স একটু বেশি তাঁরা বিভিন্ন পিএনপি প্রোগ্রামের মাধ্যমে নমিনেশন নিয়ে কানাডায় নাগরিকত্ব গ্রহণ করছেন। কানাডায় অনেকগুলো পিএনপি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।
তাই দেরি না করে ভালো ইমিগ্রেশন আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে জেনে নিন আপনি যোগ্য কি না এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে সঠিকভাবে ফাইল জমা দিন। কমপক্ষে ডিগ্রি পাস, দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ও ইংরেজি ভাষার চূড়ান্ত দখলের সার্টিফিকেট থাকলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন।
কাজ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ায় বৈধভাবে কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রোগ্রাম সাব-ক্লাস-482। এ ভিসার ক্ষেত্রে ভিসাপ্রার্থীকে অবশ্যই টিএসএস ভিসার পেশা তালিকার জন্য একটি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মনোনীত হতে হবে। ভিসার জন্য আইইএলটিএসে প্রতিটি ব্যান্ডে পাঁচ বা সমমানের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
সাব-ক্লাস-482 সম্পর্কে অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলত ডিগ্রি পাসধারী দক্ষ ও অভিজ্ঞ বাংলাদেশিদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ। বাংলাদেশিরা যদি প্রথম থেকেই দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে ফাইল প্রসেস করে, তবে স্বল্প সময়ে এ ভিসা পাওয়া নিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, যেহেতু অস্ট্রেলিয়া ডিমান্ড লিস্টে ৪৩২টি পেশা রয়েছে, সুতরাং অনেকেই বিভিন্ন সাব-ক্লাসে আবেদন করে পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগটি নিতে পারেন।
যেমন- এমপ্লয়ার স্পন্সরশিপ, এমপ্লয়ার নমিনেশন স্কিম (186), স্কিল্ড ইনডিপেনডেন্ট ভিসা 189, 190, স্কিল্ড রিজিওনাল ভিসা (সাব-ক্লাস 489), রিজিওনাল স্পন্সরড মাইগ্রেশন স্কিম (187) ইত্যাদি।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর দক্ষ লোকের প্রয়োজন পড়বে। আমরা যদি সঠিকভাবে ও যোগ্য লোক বাছাই করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারি, তবে সবাইকে পেছনে ফেলে আমরাই অস্ট্রেলিয়ার শ্রমবাজারটি দখল করতে পারব। বাংলাদেশের সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
ভিসা প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে সবাইকে প্রতারকদের হাত থেকে সাবধানে চলার উপদেশ দেন অ্যাডভোকেট। অস্ট্রেলিয়ায় মাইগ্রেশনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ভিসা নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো পরিবারের সন্তানরা প্রতি মাসে সোশ্যাল বেনিফিট পাওয়া শুরু করে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, পরিবারের সব সদস্যের জন্য দেশটির বিনামূল্যের স্বাস্থ্যসেবা।
শান্তির দেশ নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডে নির্দিষ্ট সময় পর পর স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরিতে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। বছরে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার এ প্রোগ্রামের আওতায় দেশটিতে স্থায়ী নাগরিকত্ব (পিআর) পেয়ে থাকেন। এ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিরাও সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিতে পারেন।
স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরি সম্পর্কে ও এ আবেদনের শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কে জানানো হয় নিউজিল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইটে।
এ ক্ষেত্রে আগ্রহী হলে বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন যে কেউ। নিউজিল্যান্ডে সম্ভাব্য পেশার মধ্যে রয়েছে জেনারেল প্র্যাকটিশনার, প্যাথলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট, সোনোগ্রাফারসহ আরো কিছু খাত। নিউজিল্যান্ড সরকারের ওয়েবসাইটে দেশটিতে চাহিদা আছে এ রকম বিভিন্ন পেশার কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েও যাওয়া যেতে পারে নিউজিল্যান্ড।
পড়াশোনা করুন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
অনেকে বিদেশে পড়াশোনা করতে চান বিদেশি নাগরিকত্ব ও ভালো চাকরির প্রত্যাশায়। আপনার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেড হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সোপান। আপনার যোগ্যতা ও পছন্দ অনুযায়ী আমরা বিশ্বের যেকোনো দেশে ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে থাকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারব।
সাধারণত বাংলাদেশি ছেলেমেয়েদের কাছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউকে, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই থাকে পছন্দের শীর্ষে। ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, বিজনেস, আইটি, আইন ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ে এসব দেশে পড়াশোনা করতে যেতে পারেন।
বিদেশে চাকরি নিয়ে যাওয়া বা পরিবারসহ বসবাস করা যাঁদের স্বপ্ন তাঁরাই আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে অবস্থিত ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের কার্যালয়ে।
আপনি আগ্রহী থাকলে দেরি না করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ, ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করুন।
আগ্রহী হলে কথা বলতে পারেন ০১৯৮৭৭১৪২৯০, ০১৯০৪০৩৬৮৯৮, ০১৭০৮০৬২২৫৮, ০১৯০৪০৩৬৮৯৯, ০১৯০৯০৮৩৯৬২ এসব নম্বরে। ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
অথবা আপনার পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন নিচের ই-মেইলে।
ই-মেইল : chairman@worldwidemigration.org