ফেসবুক ভাঙার দাবি জানালেন সহপ্রতিষ্ঠাতা

Looks like you've blocked notifications!
ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস হিউজেস। ছবি : সংগৃহীত

ঘৃণা ও ভুয়া খবর ঠেকাতে ব্যর্থতার কারণে এখনই বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে ভেঙে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্রিস হিউজেস।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ কথা বলেন ক্রিস হিউজেস।

ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আরো বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে উগ্রপন্থীদের দেওয়া উসকানি বন্ধ করতেও ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক।’

ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের কন্টেন্ট বিক্রি করে বিপুল অর্থ আয় করছে বলেও অভিযোগ করেন ক্রিস। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের ২০০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী ক্ষমতাহীন ও অসহায়। আর অপরদিকে, ফেইসবুক তার ব্যবহারকারীদের কন্টেন্ট বিক্রি করে একচ্ছত্র বিপুল অর্থ আয় করছে। তাই এখনই ফেসবুক ভেঙে দেওয়ার সময়।’

এ ছাড়া ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গের ক্ষমতা ও তাঁর একক আধিপত্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ক্রিস হিউজেস। তিনি বলেন, ‘মার্কের ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। প্রতিষ্ঠানে কোনো গণতন্ত্র নেই। ফেসবুকে প্রাইভেসি বা অন্য যেকোনো ত্রুটির কারণে জাকারবার্গকে দায়ী করতে হবে। এখনই ফেসবুকের একচ্ছত্র আধিপত্যে লাগাম টানা উচিত।’

২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় মার্ক জাকারবার্গ ও ডাস্টিন মস্কোভিৎজের সঙ্গে ফেসবুকের জন্ম দেন ক্রিস হিউজেস। ২০০৭ সালে ফেসবুক ছেড়ে দেন তিনি।

এর আগে ক্রমবর্ধমান বিতর্কের সমাধানের জন্য ফেসবুককে তিনটি পৃথক কোম্পানি হিসেবে ভাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ফেসবুকের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু তাঁর আবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সুবিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করতে ও ভেঙে ফেলতে জাকারবার্গের ওপর চাপ বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিয়ন্ত্রকরা তথ্য বিনিময় করার চর্চা, ঘৃণিত বক্তব্য ও ভুয়া খবর ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছেন।

এর আগে ফেসবুকের বিরুদ্ধে তার প্রায় নয় কোটি ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো কেলেঙ্কারি সবচেয়ে বড় প্রমাণ। যা নিয়ে মার্কিন সিনেট ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে জাকারবার্গকে। এমনকি, গোপনীয়তা ও ভুয়া তথ্যের কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় পদ ছেড়েছেন প্রতিষ্ঠাটির বড় কর্মকর্তারা।