স্মার্টফোনের পর এবার ট্রাম্পের নজরে চীনের সিসিটিভি ক্যামেরা

Looks like you've blocked notifications!

খুব শিগগির হয়তো শেষ হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ। চীনভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের পর এবার ট্রাম্পের তোপের মুখে পড়তে যাচ্ছে চীনভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা নজরদারি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিকভিশন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, হিকভিশনের যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রযুক্তি ক্রয় ও ব্যবহার সীমিত করার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এমনটি হলে যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় নাম উঠবে হিকভিশনের। এর ফলে হিকভিশনকে কোনো প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে হলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। 

গেল সপ্তাহে হুয়াওয়েকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি আখ্যা দিয়ে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে হুয়াওয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়। হুয়াওয়ে-কাণ্ডে ওয়াশিংটন ও বেইজিং বাণিজ্যযুদ্ধ আরো তুঙ্গে ওঠে।  

নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত অডিও-ভিজ্যুয়াল পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিকভিশন ও দাহুয়া টেকনোলজিকে নজরদারিতে রাখার জন্য গত মাসে ট্রাম্পের পরামর্শকদের কাছে এক চিঠি দেন ৪০ মার্কিন আইনপ্রণেতা।

চীন তার জিনজিয়াং প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ কার্যক্রম চালাচ্ছে এমন আশঙ্কা করছেন এসব আইনপ্রণেতা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেন চীন সরকারের দমন-পীড়নের সঙ্গে না জড়ায়, তা নিশ্চিত করতে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেন তাঁরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুদলের সিনেটররাই স্বাক্ষর করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ১০ লাখের বেশি মানুষকে চীনের ‘সন্ত্রাসবাদ’ কেন্দ্রগুলোয় আটক রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ২০ লাখ মানুষকে ‘রাজনৈতিক ও রাজনৈতিক পুনর্বিবেচনার শিবিরে’ অবস্থান করতে বাধ্য করা হয়েছে। এর পর থেকেই পশ্চিমা বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো চীনের তীব্র সমালোচনা করে তদন্ত দাবি করছে। অবশ্য চীন সরকার বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে হিকভিশনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসছে এমন খবর চাউর হওয়ার প্রভাব পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ও।

তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা হিকভিশন কেউই এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।