ভারতে 'হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া ঠেকাও' আন্দোলন শুরু

Looks like you've blocked notifications!
ভারতে 'হিন্দি দিবস সমারোহে' রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও ক্যাবিনেট মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

ভারতে নতুন এক শিক্ষানীতি সব স্কুলে হিন্দিকে 'তিনটি ভাষার একটি' বাধ্যতামূলক হিসেবে চালু করতে সুপারিশ করার পর এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে দক্ষিণ ভারতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।

বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে প্রায় সব রাজনৈতিক দল বলছে, তারা সর্বশক্তি দিয়ে এই প্রস্তাব রুখবে।

পাশাপাশি সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও দারুণভাবে ট্রেন্ড করছে 'হ্যাশট্যাগ স্টপ হিন্দি ইম্পোজিশন', অর্থাৎ 'হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া ঠেকাও'।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, এই বাধার মুখে কেন্দ্রীয় সরকারও এখন বলছে, মানুষের মতামত না নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

বস্তুত হিন্দি ভাষাকে কেন্দ্র করে ভারতে বিভক্তির ইতিহাস অনেক পুরোনো, এখন সেই বিতর্কই আবার নতুন আকারে মাথাচাড়া দিচ্ছে।

ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার ঠিক পরদিনই সরকারের কাছে জমা পড়ে নতুন একটি শিক্ষানীতির খসড়া, যা প্রস্তুত করেছে দেশের নামী মহাকাশবিজ্ঞানী কে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল।

ওই 'খসড়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১৯'-এ বলা হয়, বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে ভারতের স্কুলগুলোতে যে 'তিন ভাষা ফর্মুলা' চালু আছে সেটা শুধু বহাল রাখাই যথেষ্ট নয়, তা এখন বাচ্চাদের জন্য আরো অনেক কম বয়সে চালু করা দরকার।

এখন যেহেতু এই তিনটি ভাষার একটা অবশ্যই হিন্দি হতে হবে, এবং ভারতে যে বাচ্চাদের মাতৃভাষা হিন্দি নয় তাদেরও খুব কম বয়স থেকে হিন্দি শেখাটা বাধ্যতামূলক হবে, তাই দক্ষিণ ভারতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়।

হিন্দির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস আছে তামিলনাড়ুর দল ডিএমকের।

তাদের শীর্ষস্থানীয় নেত্রী ও এমপি কানিমোজি বিবিসিকে বলছিলেন, ‘এভাবে ঘুরপথে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আমরা কিছুতেই মানব না।’

‘হিন্দি ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনে আমাদের দল আদালতে যেতেও প্রস্তুত,’ জানাচ্ছেন তিনি।