দুবাইয়ে অসুখী হলে ডাকবে পুলিশ!
দুবাইয়ের কোনো অধিবাসী নিজেকে অসুখী মনে করলে পুলিশের ডাক পেতে পারেন। পুলিশ ফোনের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করবে ওই দুবাইবাসীর অসুখী হওয়ার কারণ। পরে শহরের অসুখী বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে দুবাই কর্তৃপক্ষ।
২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ১০ সুখী শহরের তালিকায় নিজেদের অবস্থান করে নিতে আদাজল খেয়ে লেগেছে দুবাই। বিশ্বের সুউচ্চ ভবনের শহর বলে পরিচিত এর বাসিন্দাদের অসুখী হওয়ার কারণ নিয়ে রীতিমতো সমীক্ষা শুরু হয়েছে। আর জাতিসংঘের ২০১৫ সালে সুখী দেশের তালিকায় ১৫৮টি দেশের মধ্যে ২০তম অবস্থান পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০২১ সালে দেশের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ তালিকায়ও ১০তম অবস্থানে আসতে চায় তারা।
দামি ব্র্যান্ডের গাড়িসহ বিলাসবহুল যানের জন্যই পরিচিত দুবাইয়ের পুলিশ বাহিনী। আর শহরটির পুলিশের টুইটার বার্তায় প্রায়ই হ্যাশট্যাগ হয় ‘আপনার নিরাপত্তাই আমাদের সুখ’।
দুবাইয়ের পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে সুখবিষয়ক সমীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথমে দুবাইয়ের অধিবাসীদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হয়, যে বার্তায় একটি ওয়েবপেজের লিংক থাকে। ওই লিংকের ওয়েবপেজে দেখা যায়, শহরটির শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুমের ছবির পেছনে বুর্জ আল খলিফা ভবন। সেখানে আরবি ও ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হয়, ‘দুবাইয়ে আপনি কি সুখী?’
দুবাই পুলিশ আরো জানায়, প্রথম দিনেই দুই লাখ মানুষ প্রশ্নের উত্তর পাঠায়। উত্তরদাতাতের ৮৪ শতাংশ জানায়, তাঁরা সুখী। ১০ শতাংশ জানায়, তাঁরা অসুখী। আর ৬ শতাংশ নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়।
দুবাই পুলিশের প্রধান মেজর জেনারেল খামিস মাত্তার আল মাজেনা শহরটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অসুখী দুবাইবাসীর কয়েকজনকে বাছাই করে পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন করা হবে। তাঁদের কাছ থেকে অসুখী হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হবে। অসুখী হওয়ার কারণটি যদি পুলিশের এখতিয়ারের মধ্যে থাকে, তবে ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গেই সহযোগিতা দেওয়া হবে। আর অন্য কারণগুলো নির্দিষ্ট বিভাগকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে অসুখীর ব্যক্তিগত কারণে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেবে না।
দুবাইয়ের ‘স্মার্ট সরকারে’র সব কার্যালয়ে সুখী করার প্রচেষ্টা বেশ স্পষ্টভাবেই চোখে পড়ে। প্রতিটি সরকারি কর্মকর্তার পাশেই একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার রাখা হয়েছে। দুবাইয়ের কোনো নাগরিক ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে কেমন সেবা পেলেন, তা ওই ট্যাবলেট কম্পিউটারে জানিয়ে দেন। আর কর্মকর্তাদের প্রতি নাগরিকদের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে সরকারি কর্মকর্তাদের দুই থেকে সাত তারকা দেওয়া হয়।