পোল্যান্ডে আরো এক হাজার সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই দুদা বুধবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। ছবি : সংগৃহীত

পূর্ব ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে নতুন করে আরো এক হাজার মার্কিন সেনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গতকাল বুধবার পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই দুদার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এ কথা জানান।

বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ট্রাম্প জানিয়েছেন, জার্মানিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫২,০০০-স্ট্রং কন্টিনজেন্ট’ থেকে ড্রোন ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামসহ এক হাজার সেনা পোল্যান্ডে নেওয়া হবে। তবে দেশটিতে স্থায়ীভাবে কোনো মার্কিন ঘাঁটি বসানো হবে কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি ট্রাম্প। নতুন এ ঘাঁটির নাম ‘ফোর্ট ট্রাম্প’ (ট্রাম্প দুর্গ) হতে পারে বলে সংবাদ সম্মেলনে রসিকতা করেন পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট দুদা।

২০১৪ সালে পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের অংশ ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়া নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়ার পর থেকেই ওই অঞ্চলে মস্কোর সম্ভাব্য আগ্রাসনের আশঙ্কায় পূর্ব ইউরোপে সামরিক শক্তি বাড়ায় ন্যাটো। সে সময় পোল্যান্ডেও ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা হয়। তখন থেকেই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে পোল্যান্ড কর্তৃপক্ষ দেশটিতে মার্কিন ঘাঁটির ব্যাপারে অনুরোধ করে আসছিল। তবে এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল—এ রকম একটি ঘাঁটি নির্মাণে আর্থিক দিকটি কোন পক্ষ  দেখবে?

এরই মাঝে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় হিসেবে পোল্যান্ড দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে সম্মত হয়েছে। তারপরই ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন করে দেশটিতে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা এলো। 

অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনার সময় পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল রাশিয়া। সেনা মোতায়েনকে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে হওয়া সমঝোতা চুক্তির বিরোধী মনে করা হয়।

পোল্যান্ডে নতুন করে সেনা মোতায়েনের ঘটনায় রাশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প জানান, পোল্যান্ডে স্থায়ীভাবে সামরিক ঘাঁটি বসাতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী; কিন্তু রাশিয়ার প্রতিক্রিয়াই তা বাস্তবায়নের পথে বাধা।