আমি এখনো মুসলিম, ফতোয়ার জবাবে নুসরাত

Looks like you've blocked notifications!

সিঁদুর আর মঙ্গলসূত্র পরে সংসদে শপথ নিয়েছিলেন নববিবাহিত তৃণমূলের সাংসদ ও টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তখন থেকেই নুসরাতকে ঘিরে সূত্রপাত হয় বিতর্কের। সমালোচনা তো বটেই, এমনকি ফতোয়াও জারি করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। প্রশ্ন ওঠে, কেন তিনি জৈন ছেলেকে বিয়ে করেছেন? কেন তিনি হিন্দু রীতি মেনে সিঁদুর আর মঙ্গলসূত্র পরেছেন?

এত দিন ধরে চুপচাপ সমালোচনা হজম করে গেলেও এবার সমালোচনার কঠোর জবাব দিলেন নুসরাত জাহান। নুসরাত টুইট করেছেন, ‘আমি ঐক্যবদ্ধ ভারতের একজন প্রতিনিধি। সেখানে কোনো জাতি বা ধর্মের বাধা নেই। আমি সব ধর্মকেই সম্মান করি।’

মুসলিম ধর্মগুরুরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিঁদুর পরে নুসরাত নিজেকে হিন্দু প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। যার জবাবে নুসরত বলেন, ‘আমি এখনো একজন মুসলিম। তবে সব ধর্মকেই সম্মান করি। নুসরাত আরো বলেন, ‘আমি কী পরব, তা নিয়ে কারো কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। বিশ্বাস তো পরিধানের ঊর্ধ্বে।’

নুসরাত গত লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট কেন্দ্র থেকে তিন লাখের বেশি ভোটে জিতে তৃণমূলের সাংসদ হওয়ার পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। যার ফলে প্রথম দিন সংসদে উপস্থিত থেকে শপথও নিতে পারেননি। পরে তিনি সংসদে যোগ দিয়ে শপথ নেন। সেদিন শাড়ি পরে লোকসভায় যান তিনি। কপালে ছিল সিঁদুর, হাতে ছিল চূড়া, গলায় ছিল মঙ্গলসূত্র। হিন্দু বধূর সাজে তিনি কাটাকাটা বাংলায় শপথ নেন সংসদে। এমনকি নিজের নামের শেষে স্বামী নিখিল জৈনের পদবি জৈন শব্দটিও ব্যবহার করে হয়ে যান নুসরাত জৈন, যা নিয়েই মূলত নুসরাত সমালোচনার মুখে পড়েন। মুসলিম ধর্মগুরুরা তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়াও জারি করেন।

এত দিন বিষয়টি নিয়ে চুপচাপ থাকার পর অবশেষে মুখ খোলেন নুসরাত। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি সব ধর্মকেই সম্মান করেন বলেই কোনো জাতি বা ধর্মে তাঁর কোনো বাধা নেই।