সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা পেরোল ইরান

Looks like you've blocked notifications!

২০১৫ সালে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তির বাইরে গিয়ে ইরান নিজেদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ সীমা বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।

আজ মঙ্গলবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়।

ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান ৩০০ কেজির বেশি ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারবে না। কিন্তু ইরান সে সীমা অতিক্রম করেছে বলে আইএইএর পরিদর্শকরা নিশ্চিত করেছেন। 

ইরান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একপাক্ষিকভাবে ওই পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে দেশটির ওপর নানাভাবে অবরোধ আরোপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউরেনিয়ামের এ মজুদ সীমা বাড়ানো হলো।

চুক্তিতে থাকা অন্যতম দেশ যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ইরানকে এ পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর তাদের অবরোধ অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে।  

ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানকে সতর্ক করে জানিয়েছে, পরমাণু চুক্তি লঙ্ঘিত হলে ইরানের ওপর আগের আরোপিত অবরোধ আবারও আরোপ করা হবে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইরান নিজেদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদসীমা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশে উন্নীত করেছে বলে সোমবার বিকেলে নিশ্চিত করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।

জাভেদ জারিফ বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে চুক্তিতে স্বীকৃত ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের মাত্রা ছাড়িয়ে আরো উন্নত ইউরেনিয়াম প্রস্তুত করা। চুক্তি অনুযায়ী ইরানের স্বার্থ রক্ষায় নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ইউরোপীয়রা ব্যর্থ হয়েছে।’    

চুক্তি অনুযায়ী কোনো পক্ষ যদি যথাযথ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে অপর পক্ষ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিজের ভূমিকাও বদলাতে পারে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো যদি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে, তাহলে ইরান এ অবস্থান থেকে সরে আসবে বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের চাপানো অবরোধ থেকে ইরানের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে ইউরোপীয় দেশগুলো প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ইরান ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা আরো বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

অন্যদিকে পরমাণু চুক্তিতে থাকা আরেক দেশ রাশিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সের্গেই র‍্যাবকভ বলেছেন, ‘যেসব ঘটনা ইরানের এ পদক্ষেপে ইন্ধন জুগিয়েছে, তা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আমরা তেলশিল্পে কার্যকরভাবে নিষেধাজ্ঞা এবং একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রকে অবরুদ্ধ করে রাখার ব্যাপারে কথা বলছি।’