মসজিদে হত্যাকাণ্ডের পর স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দিচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা
নিউজিল্যান্ডের অনেক নাগরিক আজ শনিবার তাদের অস্ত্র জমা দিয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় দেশটির আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে বিক্রিত অস্ত্র পুনরায় কিনে নেওয়া কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা এসব অস্ত্র জমা দিলেন। বার্তা সংস্থা এএফপি ও বাসস এ খবর জানিয়েছে।
দেশব্যাপী অস্ত্র জমা নেওয়ার প্রথম দিনে ২৫০টি অস্ত্র জমা পড়েছে। ক্রাইস্টচার্চে এ জমাদান কর্মসূচি শুরু হয়। চার মাসেরও কম সময় আগে ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে বন্দুক হামলায় ৫১ মুসল্লি নিহত হন।
নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন কঠোর করতে বিরোধী দলের সহযোগিতায় সরকার দ্রুত আইন পাস করে।
পুলিশ মন্ত্রী স্টুয়ার্ট ন্যাশ জানান, এ আইন পাসের একটি উদ্দেশ্য ছিল ক্রয়সূত্রে জনগণের হাতে থাকা অস্ত্রগুলোর মধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্র ফেরত নেওয়া।
পুলিশ এ অস্ত্র জমাদান কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে। অস্ত্র জমা নেওয়া শুরু করার প্রথম দুই ঘণ্টার মধ্যে ৬৮ জন ব্যক্তি তাঁদের মালিকানাধীন ৯৭টি অস্ত্র এবং অস্ত্রের ৯৪টি যন্ত্রাংশ জমা দিয়েছে।
আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার মাইক জনসন জানান, ক্যান্টারবুরি এলাকার ৯০৩ জন অস্ত্র মালিক এক হাজার ৪১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছেন।
জনসন বলেন, ‘যাদের কাছে অস্ত্র রয়েছে, তাদের আইন মেনে অস্ত্র জমা দেওয়ার একটি বড় সুযোগ এটি। অস্ত্র জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের এমন পদক্ষেপে জনগণের কাছ থেকে আমরা ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই আজ এসে অস্ত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া জেনে যাচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে মানুষ মারার ঘটনায় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রেনটন টারান্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ বর্বর হামলা চালাতে ব্রেনটন পাঁচটি অস্ত্র ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে সামরিক-ধাঁচের আধা-স্বয়ংক্রিয় দুটি রাইফেল রয়েছে।