কোরআন বিতরণের শর্তে জামিন মিলল ভারতীয় ছাত্রীর

Looks like you've blocked notifications!

ভারতের ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফেসবুকে তাঁর একটি লেখা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। একটি ইসলামী সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছাত্রীকে আটকও করেছে দেশটির পুলিশ।

ভারতের একটি আদালত গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীকে জামিন দেন। তবে একটিই শর্ত, তাঁকে কোরআন শরিফের পাঁচটি কপি বিতরণ করতে হবে। বিতরণের রসিদ জমা দিতে হবে আদালতে।

ওই ছাত্রীর নাম রিচা ভারতী। তিনি ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা। রাঁচি মহিলা কলেজে তৃতীয় বর্ষে পড়েন তিনি।  

জানা যায়, গত সপ্তাহে রিচা ভারতী ফেসবুকে একটি বিতর্কিত লেখা পোস্ট করেছিলেন, যা ভারতের মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রিচা ভারতীকে গ্রেপ্তার করে ঝাড়খন্ড রাজ্যের পুলিশ। তবে মঙ্গলবার আদালতে তাঁর জামিন হয় পাঁচটি কোরআন বিতরণের শর্তে।

গত শুক্রবার রিচা ভারতীকে গ্রেপ্তার করা হয় একটি ইসলামী সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে। রিচার ফেসবুক পোস্ট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত করতে পারে বলে অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার ঝাড়খন্ডের একটি জেলা আদালতের বিচারক মনীশ কুমার সিং রিচা ভারতীর জামিন মঞ্জুর করেন। বিচারক রিচার মুক্তির শর্ত হিসেবে জানিয়ে দেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে ওই পাঁচটি কোরআন শরিফ বিতরণ করতে হবে। কোরআন শরিফ বিতরণের রসিদ আদালতে জমা দিতে হবে।

ওই মামলার সরকারি আইনজীবী জানান, শর্ত সাপেক্ষে রিচা ভারতীর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে জামিনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, কোরআন শরিফ নিয়ে তাঁকে যেতে হবে স্থানীয় অঞ্জুমান ইসলামিয়ায়। সেখানে কোরআন শরিফের একটি কপি বিতরণের পর একটি রসিদ দেওয়া হবে। কোরআন শরিফের বাকি চারটি কপি বিতরণ করতে হবে গ্রন্থাগারে। সেখান থেকেও রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। ওই পাঁচটি রসিদ জমা দিতে হবে আদালতে।

এদিকে রিচা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ তাঁকে আহত করেছে। নিজের পোস্টের সমর্থনে তিনি অনড় রয়েছেন বলে জানা যায়। রিচার পরিবার আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করবে বলে চিন্তাভাবনা করছে।