ফিলিস্তিনিদের ‘অবৈধ’ ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল

Looks like you've blocked notifications!

জেরুজালেমের উপকণ্ঠে একটি গ্রামে আজ সোমবার ফিলিস্তিনিদের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল৷ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে ইহুদি রাষ্ট্রটি৷

গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দাবি, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন-জেরুজালেম সীমান্ত রেখার খুব কাছাকাছি অবৈধভাবে এসব বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের দাবি, পশ্চিম তীর পুরোপুরি দখল করতেই এমন অপচেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে আজ সোমবার ভোরে সুর বাহের গ্রামে বুলডোজার দিয়ে বাড়িগুলো ভাঙা শুরু করে ইসরায়েল৷ এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও সেনা বাহিনীর কয়েকশ সদস্য৷

কয়েক বছর ধরেই বাড়িগুলো ভাঙার পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আইনি লড়াই। বাড়িগুলো না ভাঙার আবেদন খারিজ করে দিয়ে গত জুনে সুর বাহের গ্রামের বাড়িগুলো ভাঙার পক্ষে রায় দেন ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট৷ নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে এসব ভবন গড়ে তোলা হয়েছে বলে রায় দেন আদালত৷

এদিকে ফিলিস্তিনিদের দাবি, নিরাপত্তার অজুহাতে তাদের শহর থেকে দূরে সরিয়ে, ওই এলাকা দখল করে নতুন ইসরায়েলি বসতি অভিমুখে রাস্তা তৈরির জন্যই এ অভিযান চালানো হচ্ছে৷

আজ সোমবার ভোরে বেশ কয়েকটি ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য ভবনে তল্লাশি চালায় সেনাসদস্যরা।

গণমাধ্যম ডয়েচেভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় নেতা হামাদা হামাদা বলেন, ‘রাত ২টা থেকে তারা মানুষজনকে  জোরপূর্বক নিজেদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া শুরু করে। এ সময় ধ্বংস করার জন্য বাড়িগুলোতে তারা বিস্ফোরক বসায়।’

১৯৬৭ সালের ‘ছয় দিনের যুদ্ধে’ পশ্চিম তীর ও পূর্ব ফিলিস্তিনিদের কিছু অংশ দখল করে ইসরায়েল। এরপর ২০০০ সালের দিকে জেরুজালেমের ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বসতির মধ্যে প্রাচীর তুলে দেয় ইসরায়েল।

এদিকে ভবন ভাঙার নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসরায়েলের এমন কাজ ‘দ্বৈতরাষ্ট্র’ প্রসঙ্গে সমাধানের পথ এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তির আশাবাদকে দুর্বল করছে বলে জানায় ইইউ৷