ভারতীয় গণতন্ত্রের আজ সবচেয়ে কালো দিন : মেহবুবা মুফতি

Looks like you've blocked notifications!

জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, যিনি রোববার রাত থেকে নজরবন্দি রয়েছেন, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের নিন্দা করেছেন। এই ধারার বলেই জম্মু ও কাশ্মীর পেত ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’।

সোমবার তা উঠে গেল রাষ্ট্রপতির নির্দেশের পর। সরকারের উদ্দেশ্যকে অশুভ বলে বর্ণনা করে মেহবুবা জানান, সরকার চায় জম্মু ও কাশ্মীরের জনতত্ত্বই বদলে দিতে। এখন থেকে জম্মু ও কাশ্মীর আর রাজ্য রইল না। তাকে পুনর্গঠিত করা হবে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার সংসদে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি প্রস্তাব পেশ করেছেন, এই রাজ্যে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীর যার আইনসভা থাকবে এবং লাদাখ যার আইনসভা থাকবে না। এখানে দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর থাকবেন।

মেহবুবা বলেন, ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের আজ সবচেয়ে কালো দিন। ১৯৪৭ সালে দুই দেশের তত্ত্ব নাকচ করা ও ভারতের সঙ্গে থাকার জম্মু ও কাশ্মীরের নেতৃত্বে সিদ্ধান্তরই ফল এটা।'

রাজ্যের তিন মুখ্য রাজনীতিবিদ মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহ ও সাজাদ লোনকে তাঁদের বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে রোববার রাত থেকে। অধিক সংখ্যক মানুষের জমায়েত এবং জনসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে। আর গত সপ্তাহ থেকেই সেখানে অতিরিক্ত আধা সামরিক সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

শুক্রবার সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওই ঘোষণার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে। বাসিন্দাদের দেখা যায় দ্রুত দোকানবাজারে ভিড় করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করতে।

টুইটে মেহবুবা লেখেন, ‘নিশ্চিত নই কবে আমি যোগাযোগ করতে পারব। এই ভারতকেই কি আমাদের মেনে নিতে হবে?'

মোবাইল ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এবং শ্রীনগর ও এই রাজ্যের একাংশে জনসভা ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।