ইয়েমেন বিদ্রোহীদের ছোড়া ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাল সৌদি আরব

সৌদি আরব দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় জিজান নগরীতে ইয়েমেনভিত্তিক বিদ্রোহীদের ছোড়া ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দিয়েছে। রিয়াদ নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের মদদপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীরা জিজানে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তবে এতে ক্ষতির বা হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিদ্রোহীদের আল-মসিরাহ টেলিভিশন জানায়, হুতিরা জিজান বিমানবন্দরে সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তারা বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী সামরিক ঘাঁটির বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করেও হামলা চালায়।
গতকাল রোববার ওই সামরিক জোট জানায়, তারা ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খামিস মুশাইত নগরী লক্ষ্য করে হামলা চালানো হুতি বিদ্রোহীদের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এ নগরীতে একটি বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চালানো বিমান হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলে হুতি বিদ্রোহীরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আন্তসীমান্ত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে।
এদিকে সৌদি আরব হুতি বিদ্রোহীদের বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য ইরানকে বারবার দায়ী করে আসছে। তবে ইরান তাদের বিরুদ্ধে আনা এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এদিকে গত মে মাস থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা অনেক বেড়ে গেছে।
এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে ইরান গুলি করে ভূপাতিত করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে বিমান হামলার নির্দেশ দেন। পরে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে ট্রাম্প তাঁর অবস্থান থেকে সরে আসেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব কৌশলগত দিক থেকে স্পর্শকাতর উপসাগরীয় জলসীমায় বিভিন্ন ট্যাঙ্কারে বারবার হামলা চালানোর জন্য ইরানকে দায়ী করে।