কাশ্মীরে ৫০ হাজার ব্যক্তিকে চাকরি দেবে ভারত সরকার
বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজার হাজার পদে সরকারি চাকরি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার।
নয়াদিল্লির নিয়োগপ্রাপ্ত গভর্নর সত্যপাল মালিক ওই অঞ্চলে (কাশ্মীর) এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় এই নিয়োগের উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ৫০ হাজার শূন্য পদ পূরণের পরিকল্পনা করছেন।’ বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ইউএনবি।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালিক আরো জানান, ভারত সরকার কাশ্মীরের আপেল চাষিদের ৭০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
ভারত সরকারের দাবি, এ উদ্যোগ ওই অঞ্চলের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে, বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকা আপেল বাগানের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
অনেকটা আশ্চর্যজনকভাবে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়াকে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেন। মন্দা অর্থনীতিকে চাঙা করতে তাঁরা ওই অঞ্চলের জন্য আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনেরও পরিকল্পনা করছেন।
তবে কাশ্মীরের অনেক জনগণই বিশ্বাস করেন, বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে এ অঞ্চলের অর্থনীতির কোনো সম্পর্ক নেই; বরং বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়াকে ভারত সরকারের আগ্রাসন হিসেবেই দেখেন তাঁরা।
গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ওই রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে বিভক্ত করার একটি বিল পাশ করানো হয়েছে।
নতুন এ আইনের ফলে বাইরের যে কেউ এখন সেখানে জমি কিনতে পারবেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করা কাশ্মীরিরা বলছেন, বাইরের মানুষদের হিমালয়ের ওই উপত্যকায় জমি কেনার অধিকার দিয়ে সেখানকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্যকেই পাল্টে দিতে চায় ভারত সরকার।