রোহিঙ্গা নির্যাতনে জড়িত সেনাসদস্যদের শাস্তি হবে : মিয়ানমার সেনাপ্রধান

Looks like you've blocked notifications!
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং। ছবি : রয়টার্স

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী পরিচালিত অভিযানের সময়কার নির্যাতনে জড়িত সেনাদের সামরিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান।

শনিবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লাংয়ের ওয়েবসাইটে এ কথা বলা হয়। ‘কতিপয় সেনাসদস্য কিছু কিছু ঘটনায় ঊর্ধ্বতন নির্দেশ পালনে দুর্বলতা দেখিয়েছেন’—সম্প্রতি সামরিক আদালতের তদন্ত দল রাখাইনের একটি গ্রামে রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এমনটি দেখতে পেয়েছে বলে ওই ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সামরিক আদালতের তদন্ত প্রতিবেদনের পুরোটাই গোপন রাখা হয়েছে বলে রোববার রয়টার্সকে জানান মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র তুন তুন নি। এমনকি তিনিও এ বিষয়ে জানেন না বলে জানান সেনাবাহিনীর এই মুখপাত্র। তবে বিচার প্রক্রিয়া শেষে একটি বিবৃতি দিয়ে তা জানানো হবে বলেন তুন তুন নি।

গত মার্চে গঠন করা সামরিক আদালতটিতে একজন মেজর জেনারেল ও দুজন কর্নেল পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হলে এই আদালত গঠন করা হয়। জুলাই ও আগস্টে দুবার রাখাইন রাজ্যের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আদালতের সদস্যরা।

বুথিডংয়ের শুধু গুতারপিয়ান গ্রামে অন্তত পাঁচটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে ২০১৮ সালে খবর দেয় মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। কিন্তু মিয়ানমার সরকার সে সময় বলেছিল, ১৯ জন ‘সন্ত্রাসীকে’ ‘যত্নসহকারে’ সমাধিস্থ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালে সামরিক কর্তৃপক্ষের একটি তদন্তে বাহিনীর লোকজন রোহিঙ্গা অভিযানে কোনো অপরাধ করেনি বলে জানানো হয়।

এ সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও একটি নিরীক্ষা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এদিকে এর পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিপাইনের কূটনীতিক রোজারিও মানালো ও জাতিসংঘে জাপানের সাবেক দূত কেনজো ওসিমাকে নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করে মিয়ানমার সরকার। এই প্যানেল এখনো কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।