জাকির নায়েককে ভারতে ফেরাতে চান মোদি

Looks like you've blocked notifications!

মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ভারতের ইসলামিক বক্তা ড. জাকির নায়েককে দেশে ফেরানোর এখনই সময় বলে মনে করছে ভারত। সেই লক্ষ্যে রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় পার্শ্ববৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের ফাঁকে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, বৈঠকে জাকির নায়েককে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি। এ ব্যাপারে দুই দেশই একমত হয়েছে যে যেহেতু এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তাই এ নিয়ে ভারত ও মালয়েশিয়ার অফিসাররা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে থাকবেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় পার্শ্ববৈঠককালে জাকির নায়েককে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করলে জাকির নায়েককে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে মাহাথিরের ইতিবাচক মনোভাব ছিল।

২০১৬ সালে মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেন জাকির নায়েক। তাঁকে ফেরত পাওয়ার জন্য নয়াদিল্লি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। তবে সম্প্রতি মালয়েশিয়া সরকারের রোষানলে পড়েছেন জাকির নায়েক। গত মাসের ৮ তারিখ এক সভায় সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দু ও চীনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের উদ্দেশে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন তিনি।

মালয়েশিয়ার কেলানতানে অনুষ্ঠিত ওই ধর্মীয় আলোচনায় জাকির নায়েক বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের চেয়ে মালয়েশিয়ার সংখ্যালঘু হিন্দুরা ১০০ গুণ বেশি অধিকার ভোগ করছে। প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ার ৬০ শতাংশ মুসলিম বাদে বাকি ৪০ শতাংশ মানুষের অধিকাংশই চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর এমন মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়। পরে অবশ্য এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন জাকির নায়েক।

ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার দাবি তুলে মালয়েশিয়ার তিন মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার মুসলিমদের সঙ্গে অমুসলিমদের দূরত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেছেন জাকির নায়েক।

পুলিশ এ নিয়ে তাঁকে এক দফা জেরাও করেছে। তারপরই জাকির নায়েকের বক্তৃতার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মালয়েশিয়া সরকার।