২২৩ সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিল তুর্কি প্রশাসন

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ছবি : রয়টার্স

তিন বছর আগের একটি সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২৩ সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। এই সামরিক কর্মকতাদের গ্রেপ্তার করতে তুরস্কের ৪৯ অঙ্গরাজ্য ও অধিকৃত উত্তর সাইপ্রাসে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি হাবের।    

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ১০০ জন সেনাবাহিনীর, ৪১ জন বিমান বাহিনী ও ৩২ জন নৌবাহিনীর সদস্য বলে টিভি চ্যানেলটি জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন।

২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের মূল হোতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে আসছে তুরস্ক। ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন ফেতুল্লাহ গুলেন। তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তিনি।  

অভ্যুত্থানচেষ্টার তিন বছরের মধ্যে ৭৭ হাজারের বেশি মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে জেলে পাঠিয়েছে তুর্কি প্রশাসন। এ ছাড়া চাকরিচ্যূত অথবা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে দেড় লাখেরও বেশি সরকারি কর্মজীবী, সামরিক সদস্যসহ নানা পেশাজীবীকে।

ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান কঠোর হস্তে সরকারবিরোধীদের দমন করছেন—এমন অভিযোগ করে আসছে তুরস্কের পশ্চিমা মিত্রদেশ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।

অন্যদিকে, তুরস্কে গুলেনের নেটওয়ার্ক সমূলে উৎপাটন করতে বদ্ধপরিকর আঙ্কারার এ বিষয়ে বক্তব্য হলো, দেশের নিরাপত্তা হুমকির পরিপ্রেক্ষিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।