সৌদির তেলখনিতে ড্রোন হামলায় ইরানকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা আরামকো পরিচালিত প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা ও তেলখনিতে ড্রোন হামলার ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্র এ হামলার দায় স্বীকার করে জানান, ওই হামলায় ১০টি ড্রোন ব্যবহার করেছিল তারা। এ ছাড়া ভবিষ্যতে আরো হামলা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ হামলায় ইরানকে দায়ী করে দাবি করছেন, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে ইয়েমেন থেকে ড্রোন নিয়ে গিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে। পম্পেও বলেন, ‘আমরা সব দেশকে ইরানের এমন হামলায় নিন্দা প্রকাশের জন্য আহ্বান করছি।’

এক টুইটবার্তায় মাইক পম্পেও এ আক্রমণকে বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে অনেক বড় আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে হোয়াইট হাউস বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে প্রতিরক্ষা সহায়তার জন্য সৌদি আরবকে প্রস্তাব দিয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার আরামকো পরিচালিত প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা ও খনিতে ড্রোন হামলার ঘটনার পর তেল ও গ্যাস উৎপাদন কমিয়েছে দেশটি।

সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান জানিয়েছেন, এ হামলার পর থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি দিনে অন্তত ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) এক বিবৃতিতে প্রিন্স আবদুল আজিজ বলেন, ‘এ হামলার ফলে আবকাইক ও খুরাইস প্ল্যান্ট থেকে সাময়িকভাবে উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে।’

গতকাল শনিবার সৌদি আরবে আরামকো কোম্পানির প্রক্রিয়াজাতকরণ স্থাপনা আবকাইক ও তেলখনি খুরাইসে ড্রোন হামলার জেরে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের বেশ কয়েকটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভিডিওতে দেখা গেছে, আরামকোর তেল স্থাপনা আবকাইক ও খুরাইস তেলক্ষেত্র থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। পাশাপাশি একটি ভিডিওতে গুলির শব্দও শোনা গেছে।