হামলার জবাব দেওয়ার সক্ষমতা সৌদির আছে : ট্রাম্পকে ফোনে সালমান

Looks like you've blocked notifications!

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় অপরিশোধিত তেল শোধনাগার ‘আরামকো কোম্পানি’র দুটি বৃহৎ স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীরা। মূলত এ ঘটনায় এরই মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রিয়াদ।

ভয়াবহ ওই আক্রমণের পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, মোহাম্মদ বিন সালমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অবশ্যই হামলার যথাযথ জবাব দেওয়া সক্ষমতা সৌদি আরবের আছে। এর জন্য রিয়াদ সর্বদাই প্রস্তুত। রোববার শীর্ষ এ দুই নেতার ফোনালাপের সময় সালমান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ট্রাম্পকে সালমান বলেন, ‘ইরান সমর্থিত সেনাদের চালানো এই হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সক্ষমতা এবং প্রস্তুতি উভয়ই রিয়াদের আছে। এরপরও নিজেদের সকল নিরাপত্তা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী সৌদি আরব।’

গত শনিবার আরামকোর পৃথক তেল স্থাপনায় হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে এমবিএস খ্যাত যুবরাজ সালমান বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের হামলা মোকাবিলায় রিয়াদ পুরোপুরি সক্ষম। আমাদের সেনারা এর জন্য সর্বদাই প্রস্তুত রয়েছে।’

এদিকে টেলিফোনে ট্রাম্প সালমানকে বলেন, ড্রোন হামলার পর সৌদি আরবের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত। সৌদি চাওয়ামাত্র মার্কিন প্রশাসন তাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।

এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘সৌদির ইস্টার্ন প্রদেশে অবস্থিত তেল স্থাপনাগুলোতে ইয়েমেনের ড্রোন হামলার পেছনে তেহরানও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এসব অভিযোগ এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে শিয়াপন্থি সশস্ত্র সংগঠন হুতি বিদ্রোহীরা।