জাতিসংঘে এরদোয়ান

‘পরমাণবিক শক্তি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক, নইলে নিষিদ্ধ করা হোক’

Looks like you've blocked notifications!

পরমাণু শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহারের ব্যাপারে দ্বৈতনীতি অনুসরণ করায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, হয় বিশ্বের সব দেশের জন্য পরমাণু শক্তি ব্যবহার উন্মুক্ত করা হোক, নতুবা পরমাণবিক শক্তির ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম বার্ষিক অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় গতকাল মঙ্গলবার এরদোয়ান এই বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যেসব দেশের কাছে পরমাণু শক্তি আছে এবং যেসব দেশ এই শক্তির অধিকারী নয় তাদের মধ্যে যে বৈষম্য বিরাজ করছে তাতে বৈশ্বিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে পরমাণু শক্তির ব্যবহার হয় পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে, আর তা না হলে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।’ ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডে এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলো আঙ্কারাকে পরমাণু শক্তিধর হওয়ার পথে বাধা দিতে পারে না। রাশিয়া থেকে এস-ফোর হান্ড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মারাত্মক টানাপড়েনের মধ্যে এরদোয়ান এ কথা বলেছিলেন।

এরদোয়ান সে সময় বলেছিলেন, ‘বেশ কয়েকটি দেশের কাছে পরমাণু যুদ্ধাস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে এবং এ রকম দেশের সংখ্যা একটি-দুটি নয়। অথচ তারাই বলে আমরা পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারব না। এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’

গতকাল জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান কাশ্মীর ইস্যুতে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা করেন।