সৌদি আরবের সুরক্ষার জন্য আরো সমরাস্ত্র ও সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!

ইরানের হামলা থেকে রক্ষা পেতে সৌদি আরবকে সহায়তা করতে দেশটিতে নতুন করে সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। সৌদি আরবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

সম্প্রতি ইয়েমেনের হুতি আনসারুল্লাহ বাহিনীর ড্রোন হামলায় দুটি সৌদি তেল স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়। এ হামলার জেরে দেশটির তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। এ অবস্থায় সৌদি আরবের অবকাঠামো রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়। ইরানি গণমাধ্যম পার্স টুডে এ খবর জানিয়েছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জনাথন হফম্যান গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে একটি প্যাট্রিয়ট ব্যবস্থা, চারটি সেন্টিনেল ব্যবস্থা এবং সঙ্গে এগুলো পরিচালনার জন্য ২০০ সদস্যের একটি সামরিক দল সৌদি আরবে পাঠানো হবে।

হফম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এ পদক্ষেপগুলো আঞ্চলিক সহযোগী দেশগুলোর প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ। মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আগে থেকেই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও দেশটির তেল স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

ওয়াশিংটন দাবি করছে, থ্রিডি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা— সেন্টিনেল দিয়ে তুলনামূলক কম উচ্চতায় উড়ে আসা হুমকি প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেন্টিনেল দিয়ে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করতে পারবে বলে দাবি করছে পেন্টাগন।

ইয়েমেনে হুতি যোদ্ধারা ঘোষণা করেছে, তারা সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ১০টি ড্রোনের সাহায্যে সাম্প্রতিক হামলা চালিয়েছেন। তবে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, ইরান ওই হামলা চালিয়েছে। যদিও সৌদি আরবের ওই অভিযোগ কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।