অবশেষে বন্দি জম্মু নেতাদের মুক্তি দিল মোদি সরকার

Looks like you've blocked notifications!

প্রায় দুই মাস গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তি পেলেন জম্মুর রাজনৈতিক নেতারা। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, অবশেষে জম্মুর রাজনৈতিক নেতাদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিললেও কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা হয় আটক, নয়তো গৃহবন্দি রয়েছেন।

সরকারি সূত্র অনুযায়ী, অঞ্চলটির আসন্ন ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচন কেন্দ্র করে জম্মুর নেতাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় প্রশাসন। পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার দ্বিতীয় পর্যায় হিসেবে পরিচিত এই নির্বাচন। তাছাড়া বেশ কিছুদিন আগেই ব্লক উন্নয়ন কাউন্সিলের নির্বাচনের ঘোষণা করেছিল সরকার।

বিশ্লেষকদের মতে, জম্মুর পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। গত সোমবার উপত্যকাটির মুখ্য নির্বাচ‌নি কর্মকর্তা আসন্ন ভোটের কথা ঘোষণা করেছিলেন। মূলত এর কিছুদিন পর রাজনৈতিক নেতাদের ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল প্রশাসন।

আগামী ২৪ অক্টোবর অঞ্চলটির মোট তিনশটি ব্লকে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল নির্বাচন। যা সেদিনই গণনা হবে। এবার প্রায় ২৬ হাজারের অধিক পঞ্চায়েত সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এবার জম্মুতে গৃহবন্দিদশা থেকে মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- রমণ ভাল্লা, দেবেন্দর সিংহ রানা, ভিকার রসুল, হর্ষদেব সিংহ, চৌধুরীলাল সিংহ, সুরজিৎ সিংহ স্লাথিয়া, জাভেদ রানা এবং সাজ্জাদ আহমেদ কিচলু।

গণমাধ্যমের দাবি, কাশ্মীরে উত্তেজনা শুরুর পর বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কায় রাজ্যের প্রায় চার শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকে হয় আটক নয়তো গৃহবন্দি করেছিল প্রশাসন। যাদের মধ্যে রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লাহর মতো নামও রয়েছে।

এর আগে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু ও কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।

এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে এবং পাক সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরান।