প্যারিসে হামলা, যুক্তরাষ্ট্রে শঙ্কা
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ভায়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর শঙ্কা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রেও। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে নিউইয়র্ক, বোস্টনসহ বিভিন্ন শহরে।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) জানিয়েছে, ফ্রান্সের কনস্যুলেট ভবন ও পর্যটন এলাকাগুলোতে কাউন্টার টেরোরিজম রেসপন্স কমান্ডসহ বিভিন্ন বিশেষ ইউনিটের কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এনওয়াইপিডি আরো জানিয়েছে, প্রায় পুরো নিউইয়র্ক শহরের জনাকীর্ণ এলাকায় কয়েকটি দল পাঠানো হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল দে ব্লাজিয়া এবিসি-৭ টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘সব সময় আমরা একটি হামলার ঘটনাকে সতর্কভাবেই দেখি। এটি প্রস্তুতি নেওয়ার এবং সতর্ক হওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্যারিসে ভয়াবহ হামলায় নিহতদের স্মরণে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং ওপর এবং ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চূড়ায় স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ফ্রান্সের পতাকার নীল, সাদা ও লাল রঙের আলো দিয়ে আলোকিত করা হয়।
নিউইয়র্কে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ সন্ত্রাসীর হামলার স্থল এখনো সন্ত্রাসীদের হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু রয়েছে বলে মনে করা হয়।
নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, পুলিশ সেতু, সুড়ঙ্গ ও রেলওয়ে স্টেশনগুলোর পাশাপাশি লোয়ার ম্যানহাটনে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছে। বাস ও ট্রেনে তল্লাশির পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যাগেও তল্লাশি চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের জেস জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্যারিসের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আমরা কোনো নির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হামলার হুমকি পাইনি।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে জাতীয় বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের ১১টি খেলা ছিল। প্যারিসে এই হামলার পর খেলার প্রতিটি ভ্যেনুতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
ন্যাশনাল ফুটবল লিগের মুখপাত্র ব্রায়ান ম্যাকার্থি বলেন, খেলার ভ্যেনুতে সব সময় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়।
নিউইয়র্কের বাইরে আইন প্রয়োগকারী ও পরিবহন সংস্থা বলেছে, তারা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিল।
ক্যাপিটল হিলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুলিশ ক্যাপিটল কমপ্লেক্সে টহল বাড়িয়েছে।
এক বিবৃতিতে টহল বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মকর্তাদের সতর্ক অবস্থান নিতে বলেছে বোস্টন পুলিশ বিভাগ। এ ছাড়া শুক্রবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্র ও সেন্ট ভিনসেন্টের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলার সময় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শিকাগো, সান ফান্সিকো ও পিটার্সবার্গেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। টহলের পাশাপাশি বাস ও ট্রেনে তল্লাশি চলছে।