নারী সিরিয়াল কিলারকে দেখতে আদালতে উপচেপড়া ভিড়

Looks like you've blocked notifications!

অর্থ ও সম্পত্তির জন্য একে একে ছয়জনকে খুন করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন এক নারী। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই নারীকে দেখতে আদালত চত্বরে ভিড় জমায় অসংখ্য মানুষ।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতের কেরালার কোঝিকোড়ের আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্ত খুনি জলি জোসেফকে (৪৭) দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।

অন্য আরো দুই অভিযুক্তের সঙ্গে জলিকে ছয় দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়। বাকি দুই অভিযুক্ত এমএস ম্যাথু ও প্রাজি কুমার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক স্বামী রয় থমাসকে খুন করার অভিযোগে গত শনিবার জলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক স্বামীকে বিষ খাইয়ে খুন করেন জলি। পুলিশ জানিয়েছে, আরো পাঁচজনকে খুনের কথাও স্বীকার করেছেন জলি। তবে প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণ জোগাড়ের দিকেই নজর দিচ্ছে পুলিশ।

তবে চ্যালেঞ্জকর বিষয় হলো, ওই খুনগুলো করা হয় ১৪ বছর আগে, ২০০২ থেকে ২০১৬-এর মধ্যে। কিন্তু শুধু জলির সাবেক স্বামীর খুনের ঘটনার তথ্য-প্রমাণ রয়েছে পুলিশের কাছে। কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছর পর নতুন করে অভিযোগ পাওয়ার পর আবার মামলাটির ফাইল খোলা হয়। এর পরেই আরো পাঁচটি খুনের ঘটনা সামনে আসে। সব মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে ওঠানো হয়েছে।

রাজ্য পুলিশের ডিজি লোককান্ত বেহরা জানান, দেশ ও দেশের বাইরের সবচেয়ে দক্ষ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তাঁর বাহিনী। মাটির নিচ থেকে তোলা মরদেহগুলোও পুনরায় নমুনা পরীক্ষা করা হবে।

জলি একজন ধার্মিক ও ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবেশী ও বন্ধুরা পুলিশের দেওয়া তথ্য শুনে হতবাক। কারণ এত দিন পর তাঁরা জানতে পেরেছে যে জলি আসলে একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা কেজি সাইমন জানান, অর্থ ও সম্পত্তির লোভে পরিবারের ছয়জনকে বিষ খাইয়ে খুন করেছে বলে স্বীকার করেছেন জলি।

কেজি সাইমন বলেন, ‘জলি প্রথমে খুন করেন আন্নাম্মা থমাসকে। আন্নাম্মা ছিলেন জলির শাশুড়ি। তিনি পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়। পরিবারের আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বাসনায় তাঁকে খুন করা হয়। দ্বিতীয় ব্যক্তি যাঁকে খুন করা হয়, তিনি হলেন টম থমাস, জলির শ্বশুর। সম্পত্তির কারণে তাঁকে খুন করা হয়। তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন তাঁর স্বামী রয় থমাস। চতুর্থ জন ম্যাথু থমাস। ম্যাথু ছিলেন আন্নাম্মার ভাই। পঞ্চম খুনের শিকার হয় এক বছরের শিশু আলফাইন। ষষ্ঠ খুনের শিকার ফিলি। তিনি ছিলেন জলির স্বামীর প্রথম স্ত্রী।

আগামী বুধবার জলিকে ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।