জাপানে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘হাগিবিস’, নিহত ৯

Looks like you've blocked notifications!
জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ এবং বিস্তৃত চিকুমা নদীর পানিতে এলাকা প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। হেলিকপ্টার দিয়ে আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ছবি : রয়টার্স

জাপানে শক্তিশালী টাইফুনের আঘাতে অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১৭ জন।

ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিতে গিয়ে সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিহিদে সুগা জানান, শনিবার টাইফুন ‘হাগিবিস’ টোকিওর দক্ষিণে আঘাত হানে এবং উত্তরের দিকে সরে যায়। এর ফলে কয়েকটি নদীর পানি উপচে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।

এতে অসংখ্য ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় তিন লাখ ৭৬ হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ১৪ হাজার বাড়িতে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে জাপান সরকার।

নৌকা ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ভূমিধসের ফলে বিভিন্ন এলাকায় আটকেপড়া লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এদিকে জাপানের রাজধানী টোকিওসহ অন্যান্য এলাকায় টাইফুনের আঘাতের পর প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড় বইছে। এতে বন্যার কারণে আটকেপড়া লোকজনকে সরিয়ে নিতে পুরোদমে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল এনএইচকে জানায়, রোববার টাইফুনের আঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, একজন হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখনো অন্তত ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এনএইচকে বলছে, টোকিওর তামা নদীসহ অন্যান্য নদীতে উপচেপড়া পানির প্রবাহ হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ভূমিধসের ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

সরকারি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ১৯৫৮ সালের পর সর্বোচ্চ শক্তিশালী সুপার টাইফুন জাপানে আঘাত হানতে যাচ্ছে। এর মধ্যে দেশটিতে নজিরবিহীন বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার ভারি বর্ষণের কারণে ভূমিধস ও ভয়াবহ বন্যার শঙ্কায় ৬০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।