এবার সিরিয়া থেকে সব সেনা সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

Looks like you've blocked notifications!
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়া থেকে প্রায় এক হাজার মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। দেশটিতে হাজারখানেক মার্কিন সেনা রয়েছে, যার সিংহভাগ উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। গতকাল রোববার মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিবিএসের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সেনা প্রত্যাহারের এ তথ্য জানান মার্ক এসপার।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার জানান, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প সেনা সরিয়ে নেওয়ার এ নির্দেশ দিয়েছেন। মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ ‘দ্রুততম ও নিরাপদতম’ উপায়ে করা হবে বলে জানান তিনি।

এর ফলে উত্তর সিরিয়ার কুর্দিরা চরম বেকায়দায় পড়তে যাচ্ছে। একই সঙ্গে আসাদ সরকার ও আইএসবিরোধী লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মিত্র হিসেবে পেয়েছিল এই কুর্দিরা। তুরস্কের হামলার বিপরীতে লড়াই চালিয়ে গেলেও দুর্দিনে মিত্রশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে না পেয়ে বেশ পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে কুর্দিরা।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সিরিয়ায় আমরা দুটি পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে আটকা পড়েছি... এ অবস্থায় সেখানে সেনা মোতায়েন করে রাখা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কাজ হবে।’

ইরানি বার্তা সংস্থা পার্স টুডের খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবশ্য তাঁর সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানাননি, এই এক হাজার সেনাকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে বের করে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়া হবে নাকি মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোথাও মোতায়েন করা হবে।

জানা যায়, কয়েক মাস আগেও সিরিয়ায় প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন ছিল। সাম্প্রতিক গ্রীষ্মে ট্রাম্পের নির্দেশে তাদের অর্ধেককে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দি গেরিলাদের উৎখাত করার লক্ষ্যে গত ৯ অক্টোবর থেকে ওই অঞ্চলে ব্যাপক সেনা অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত পেয়েই অভিযান শুরু করেছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সরকার। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে সশস্ত্র আন্দোলনকারী এসব কুর্দি গেরিলাকে এত দিন সব রকম পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।