ভারত নির্ভরতা ছেড়ে চীনে ঝুঁকছে নেপাল

Looks like you've blocked notifications!
গতকাল রোববার কাঠমান্ডুতে নেপালের ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লির চেয়ারম্যান গণেশ প্রসাদ তিমিলসিনা (বাঁয়ে), নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নন্দ কিশোর পুন (ডানে)। ছবি : রয়টার্স

একটি রেলপথ ও একটি টানেল নির্মাণের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে নেপাল। এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিক যোগাযোগ খাতে ভারত-নির্ভরতা কাটিয়ে চীনের ওপর ভরসা রাখার ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশটি। এই রেল লিংক প্রকল্পটিকে নেপালের ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নেপাল সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উপস্থিতিতে এই দুটি ও আরো ২০টি চুক্তি সই হয়। বাণিজ্য, পানি সরবরাহ ও প্রাকৃতিক ওষুধবিষয়ক এসব চুক্তি সই হয়। ২২ বছর পর চীনা প্রেসিডেন্ট নেপাল সফর করলেন। গতকাল রোববার শি জিনপিংয়ের দুদিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে চুক্তিগুলো সই হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

৭০ কিলোমিটারের রেলপথ প্রকল্পটি নেপালের কাঠমান্ডুর সঙ্গে তিব্বতের গাইরোনকে সংযুক্ত করবে। এরই মধ্যে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত এই প্রকল্প নিয়ে প্রাথমিক গবেষণা শেষ করেছে চীনা বিশেষজ্ঞ দল। এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য বিস্তারে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন শি জিনপিং।

কাঠমান্ডু থেকে চীনা সীমান্তে পৌঁছাতে সময় ও খরচ বাঁচাতে রেলপথের মাঝেই ২৮ কিলোমিটারের একটি টানেল নির্মাণ করা হবে।

নেপালের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন ও ভারতের মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা চলে আসছে। নেপালের দুই-তৃতীয়াংশ বাণিজ্য ভারতের দখলে রয়েছে। এমনকি দেশটির জ্বালানির শতভাগ সরবরাহ করে ভারত।

ভারত সফর শেষে গত শনিবার নেপাল পৌঁছান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষ করে নেপালে গিয়ে এদিন নৈশভোজের পর শি জিনপিং বলেন, ‘নেপালকে চারদিকে ভূমিবেষ্টিত দেশ থেকে ভূমিসংযুক্ত দেশের পথে আরোহণের স্বপ্ন দেখতে সহযোগিতা করব আমরা।’