ভুয়া আতঙ্কে প্যারিসে হুলস্থুল

Looks like you've blocked notifications!
নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে এমন আশঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকেন প্যারিসবাসী। তলব পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। ছবি : ভিডিওচিত্র থেকে নেওয়া ছবি

বৈদ্যুতিক বাতি ভাঙার সঙ্গে পটকা ফাটার বিকট আওয়াজ—এমন শব্দে গতকাল রোববার ফ্রান্সের প্যারিসে আতঙ্ক দেখা দেয়। নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে এমন আশঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকেন প্যারিসবাসী। তলব পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। শুক্রবার রাতে প্যারিস হামলায় নিহতদের স্মরণে জড়ো হওয়া সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার সাক্ষী লুরি (২৩) নামের এক ফরাসি তরুণী বলেন, অনেকের মতোই তিনি নিহতদের স্মরণে ফুল দিতে প্যারিসের কেন্দ্রে যান। শোক প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ফুল দিয়ে একদল তরুণের সঙ্গে তিনি গান করছিলেন। হঠাৎ করেই সবাই দৌড় শুরু করেন। অন্যের দেখাদেখি তিনিও সেখান থেকে সরে যান।   

অপর এক তরুণ বলেন, তিনি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। আতঙ্কে তিনি দৌড় শুরু করেন। পরে জানতে পারেন এটি ছিল পটকা ফাটানোর আওয়াজ। 

ফরাসি পুলিশ বার্তা সংস্থা এফপিকে জানায়, পটকা ফাটানোর বিকট আওয়াজ থেকেই আতঙ্কের শুরু। 

ফ্রান্সের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্যারিসের কেন্দ্রস্থল থেকে কয়েক ব্লক দূরেই আরেকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সেখানে কোনো হিটার বা বৈদুত্যিক বাতি বেশ শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা বিষয়টিকে নতুন করে হামলা বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেয়। এর পর পরই বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে লোকজন আতঙ্কে বেরিয়ে আসে এবং নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে ছোটে। 

নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, আতঙ্কিত অনেকে প্যারিসের উক খালের বরফ শীতল পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।  

স্থানীয় মেয়র ক্রিস্টফ জেরার্ড এএফপিকে বলেন, ঘটনার সময় তিনি নটর ডেম গির্জায় ছিলেন। শুক্রবার নিহত ১২৯ জনের স্মরণে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ওই সময় তাঁর মোবাইলে বার্তা আসে টাউন হলের কাছে গোলাগুলি হয়েছে। তিনি দ্রুত গির্জা থেকে বেরিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করেন।  

শুক্রবার রাতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের প্রায় একই সময়ে ছয়টি স্থানে সিরিজ বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত হন। আহত হয়েছে কয়েক শ ব্যক্তি। আর পুলিশের গুলিতে সাত হামলাকারী নিহত হন। ওই ঘটনার পর থেকে পুরো ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।