রাস আল-আইনে কোনো যোদ্ধা নেই, দাবি কুর্দিদের; তুর্কি পক্ষের নাকচ

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কের মদদপ্রাপ্ত সিরীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক যোদ্ধা উত্তর সিরিয়ার রাস আল-আইন শহরের রাস্তা ধরে হাঁটছেন। এই বিদ্রোহীদের সহযোগিতায় শহরটিকে ঘিরে রেখেছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী। ছবিটি গত শনিবার তোলা। ছবি : রয়টার্স

তুর্কি সীমান্তবর্তী শহর রাস আল-আইন থেকে কুর্দিরা নিজেদের পুরোপুরি সরিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করেছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ)। তবে তুর্কি মদদপুষ্ট সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তুরস্কের সঙ্গে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে এসডিএফের। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে কুর্দিদের রাস আল-আইন ও আল আবইয়াদ শহর থেকে সরে যেতে হবে। এলাকাটি তুর্কি সীমান্ত থেকে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৩০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মধ্যে এই সমঝোতা চুক্তি হয়।

এসডিএফ মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল কিনো বলেন, ‘শহরটিতে (রাস আল-আইন) এখন আমাদের কোনো যোদ্ধা নেই।’

এদিকে তুর্কি মদদপুষ্ট বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মুখপাত্র মেজর ইউসেফ হামুদ রয়টার্সকে বলেন, ‘এসডিএফ এখনো রাস আল-আইন থেকে পুরোপুরি সরে যায়নি। যদিও তাদের কিছু গাড়ি রাস আল-আইনে ঢুকে আবার বের হয়েছে।’

উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পরপরই তুরস্ক সামরিক অভিযান শুরু করে। মার্কিন ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সিরিয়া যুদ্ধের পরম মিত্রশক্তি এসডিএফের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ট্রাম্পের বক্তব্য হচ্ছে, কুর্দিদের সঙ্গে তুর্কি সরকারের বিরোধ বহু পুরোনো এবং এটি আঞ্চলিক একটি ইস্যু। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের স্থানীয় বিরোধে ব্যবহার করতে দেওয়ার কোনো মানে হয় না।

কুর্দি যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত উত্তর সিরিয়ার দুটি শহর রাস আল-আইন ও আল আবইয়াদ এবং এর আশপাশের এলাকাটিতে নিরাপদ অঞ্চল করার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক সরকার। ওই এলাকার সঙ্গে লাগোয়া তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে এসডিএফ মিলিশিয়াদের আঁতাত রয়েছে বলে দাবি করে তুর্কি সরকার।