নির্বাচনে মোরালেসের জয়ের মুখে সংঘাতমুখর বলিভিয়া

Looks like you've blocked notifications!

বিতর্কিত পরিস্থিতিতে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। এদিকে এ পরিপ্রেক্ষিতে বলিভিয়ায় শুরু হয়েছে সংঘাত-সংঘর্ষ।  

নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটাভুটির দিকে যাওয়ার মুখে ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

কিন্তু পরে যখন আবার গণনা শুরু হয়, তখন দেখা যায় জেতার জন্য প্রয়োজনীয় ভোট প্রেসিডেন্ট মোরালেস পেয়ে গেছেন। অন্যদিকে গণনার ফল প্রত্যাখ্যান করেন মোরালেসের প্রতিদ্বন্দ্বী কার্লোস মেসা।

এদিকে হঠাৎ করে ফলাফলের পাল্লা মোরালেসের দিকে ঘুরে যাওয়াকে ‘বেমক্কা ও ব্যাখ্যা করা কঠিন’ বলছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের একটি অংশ।

ইলেকটোরাল অবজারভেশন মিশন অব দি অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘চূড়ান্ত গণনার ফলাফলে ভোটারদের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে বলে আমরা আশা করছি।’

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা গতকাল সোমবার সুকর ও তারিজা অঞ্চলের নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্যদিকে রাজধানী লা পাজে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

সরকারি ওয়েবসাইটে নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল ৮৩ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত হালনাগাদ করার পর বন্ধ রাখা হয়।

ভোট গণনায় দেখা যায়, ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মোরালেস। অন্যদিকে ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন মেসা।

এর পর ওয়েবসাইটটি আবার যখন চালু হয়, তখন মোরালেসকে ৪৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। আর মেসাকে ৩৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোটে দ্বিতীয় স্থানে থাকতে দেখানো হয়। এদিকে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ১০ পয়েন্টের বেশি ব্যবধান থাকার অর্থ হচ্ছে, আসছে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে যেতে হবে না মোরালেসকে।

কে এই ইভো মোরালেস?

২০০৬ সালে ক্ষমতায় আসেন বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হলে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি।

তবে নির্বাচনে জয়ী হলেই প্রেসিডেন্ট হয়ে যাবেন না মোরালেস। বলিভিয়ার সংবিধানে পরপর দুবারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। তাই চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট হতে হলে মোরালেসকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

বিভিন্ন সামাজিক নীতি বাস্তবায়নের জন্য মোরালেস বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মোরালেস বলিভিয়ার আদিবাসীদের  প্রিয়পাত্র হিসেবে পরিচিত।

বলিভিয়ার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য মোরালেস প্রশংসিত হলেও পরিবেশ বিষয়ে অবস্থানের জন্য সমালোচিতও হয়েছেন। 

চলতি বছর আমাজনের ভয়াবহ দাবানলে বলিভিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বনভূমি কেটে কৃষিকাজ করতে চারগুণ বেশি কৃষককে অনুমোদন দিয়ে মোরালেসের ডিক্রি জারি করা দাবানল লাগায় ভূমিকা রেখেছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।