ফের বিক্ষোভে উত্তাল ইরাক, নিহত ৪০
ইরাকের রাজধানী বাগদাদসহ বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি ও বেকারত্বসহ নানা সমস্যা সমাধানের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করে আসছে বিক্ষোভকারীরা। গতকাল শুক্রবারের বিক্ষোভে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
এদিন বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বাগদাদের সরকারি অফিসপাড়া ‘গ্রিন জোনে’ ঢুকতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দুজন নিহত হয়েছে বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অন্যদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে বাগদাদ ও নাজাফ দুই শহরের বিক্ষোভে গতকাল ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের ব্যাপারে সঠিক তথ্য জানা যাচ্ছে না।
অক্টোবরের ১ তারিখে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
গতকাল বাগদাদের পাশাপাশি নাজাফের লোকজন বন্যার পানি উপেক্ষা করে রাস্তায় নামে। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। দক্ষিণের কয়েকটি প্রদেশে কারফিউ জারি করা হয়।
অস্ত্রধারী আটক
এ ছাড়াও গতকাল শুক্রবার রাজধানী বাগদাদ এবং নাজাফ শহরের বিক্ষোভ থেকে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কয়েকজন অস্ত্রধারী ব্যক্তিকে আটক করেছে।
ইরাকের আল-আহাদ বার্তা সংস্থাকে নাজাফের প্রাদেশিক গভর্নর লুয়াই আল-ইয়াসিরি বলেন, ‘নাজাফ শহরে প্রবেশের সময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে যার কাছে একটি অ্যাসাল্ট রাইফেল ছিল এবং আরেকজনকে স্নাইপার রাইফেলসহ ধরা হয়েছে।’
এদিকে রাজধানী বাগদাদে একজন অস্ত্রধারীকে বিক্ষোভকারীরা আটক করে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। অস্ত্রধারী ব্যক্তি গোপনে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের হত্যার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বাগদাদের নাসের স্কয়ারের কাছে আরেকজন অস্ত্রধারীকে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া লোকজন আটক করে। আটক এসব অস্ত্রধারীর ছবি খুব দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ইমাম হুসাইন (আ.) শাহাদাতের চেহলাম বার্ষিকী উপলক্ষে ইরাকে বেশ কয়েকদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি বন্ধ ছিল। এর পর গতকাল শুক্রবার থেকে আবার বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইরাকের অর্থনৈতিক সংকট এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে যেসব দুর্নীতি রয়েছে তার অবসান চাইছেন বিক্ষোভকারীরা।