অভিনেত্রী লিন্ডসে প্রিন্স সালমানের ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’

Looks like you've blocked notifications!

সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচনার শেষ নেই। তাঁর পশ্চিমা সংস্কৃতিপ্রীতি অনেকেই ভালো চোখে দেখেন না। অবশ্য এত সমালোচনার পরও তাঁর জীবনযাপন পদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তনই আসেনি বলে দাবি তাঁর সমালোচকদের।

কয়েক দিন আগে মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকা লিন্ডসে লোহানের সঙ্গে সৌদি প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে। তখন মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। বিশেষ করে মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র দেশ হিসেবে বিবেচিত সৌদি আরবের নেতা হয়েও পশ্চিমা এক নায়িকার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নেয়নি।

লিন্ডসে লোহানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসার পর মোহাম্মদ বিন সালমান সঙ্গে সঙ্গে তা অস্বীকার করেন। তারপরও এটা নিয়ে আলোচনা শেষ হয়নি। এবার বিন সালমান ও লিন্ডসে লোহানের ওই বিতর্কিত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন লোহানের বাবা।

গত সপ্তাহে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিন্ডসে লোহানের বাবা তাঁর মেয়ের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে এই সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ নয় বলেও উল্লেখ করেন লোহানের বাবা।

মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকার বাবা মিশেল লোহান বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজের আদর্শ ও সম্মানজনক সম্পর্ক রয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে কোনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাঁরা শুধুই একে অপরের বন্ধু। তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে লিন্ডসের অনেক প্রভাবশালী বন্ধু আছে। কারণ, বিভিন্ন কাজে প্রায়ই অঞ্চলটিতে যায় সে। সেখানেই প্রিন্স সালমানের সঙ্গে লিন্ডসের সাক্ষাৎ হয়। আর ওই সাক্ষাৎ কেবলই কাজের জায়গায়। লিন্ডসে ওই অঞ্চলের অভিবাসীদের সাহায্য করার জন্য কাজ করছে।’

লিন্ডসের বাবা আক্ষেপ করে বলেন, ‘মানুষ লিন্ডসের ভালো কাজগুলো দেখে না, যা সে সিরিয়ায় করেছে। তারা শুধু খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে।’