যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৪ জন নিহত, আহত আরো ১৪
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ১৪ জন। স্থানীয় সময় বুধবার বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান বার্নারডিনো শহরে সরকারি সামাজিক সেবা প্রদান সংস্থার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এক বা একাধিক বন্দুকধারী গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সক্রিয় ওই বন্দুকধারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
২০১২ সালে নিউটনে স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলের ঘটনার পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা। নিউটনের ঘটনায় বন্দুকধারীসহ ২৭ জন নিহত হয়েছিল।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্যান বার্নারডিনো পুলিশপ্রধান জ্যারড বারজুয়ান বলেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীরা একটি গাঢ় রঙের স্পোর্টস কারে সামাজিক সহায়তা সংস্থার ভবন থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, বন্দুকধারীরা এখনো সক্রিয় থাকায় স্থানীয় সব স্কুল, সরকারি ভবন ও হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বন্দুকধারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
জ্যারড বারজুয়ান আরো বলেন, বন্দুকধারীদের হামলার পেছনে কোনো কারণ জানা যায়নি।
এর আগে এক টুইটার বার্তায় স্যান বার্নারডিনো পুলিশ বিভাগ জানায়, এক বা একাধিক বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছেন। আর অগ্নিনির্বাপক বিভাগ জানায়, কমপক্ষে ২০ বার তাদের কাছে সহায়তা চেয়ে ফোন এসেছে।
পুলিশের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের কাছে ভারী অস্ত্র ছিল। তাদের পরনে বুলেটপ্রুফ পোশাকও থাকতে পারে। হামলাকারীরা বোমা ফেলে যেতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস জানিয়েছে, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে এসেছে।
অ্যালকোহল, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থার লস অ্যাঞ্জেলেস শাখার কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।