পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীকে কোলে তুলে মারামারি

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেসেন প্রধানমন্ত্রী আর্সেনেই ইয়েৎসেনিউকে কোলে তুলে ডায়াসের বাইরে নিয়ে আসেন বিরোধী দলের সদস্য ওলেগ বার্না। ছবি : দ্য টেলিগ্রাফ

বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি, কাঁদানে গ্যাস-চেয়ার ইত্যাদি ছুড়ে মারা, ফ্লাইং কিক এসব আকছারই দেখছে বিশ্ব। অনেক দেশেই আবার এই মারামারিতে দু-চারটা দাঁত খসে পড়াসহ গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাও রয়েছে। তবে পার্লামেন্টের সদস্যদের মধ্যে যত যাই ঘটুক, প্রধানমন্ত্রী বা বিরোধী দলের নেতার এসব ঘটনায় সরাসরি জড়িয়ে পড়ার নজির খুব কমই।

তবে এবার ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে এমনই এক লজ্জাজনক ঘটনার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় ৫টা ১৭ মিনিটে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। ইউক্রেনের পার্লামেন্টের এক সদস্যের পোস্ট করা ভিডিও প্রকাশ করে আজ শনিবার এ খবরটি জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।

টেলিগ্রাফ জানায়, পার্লামেন্টের অধিবেশন তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আর্সেনেই ইয়েৎসেনিউক বক্তব্য দিচ্ছিলেন। বিষয়বস্তু ছিল, ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর সরকার দেশে কী ধরনের সফলতা এনে দিয়েছে এবং কী কী উন্নয়ন করেছেন। বক্তব্যের মাঝামাঝি সময়ে প্রেসিডেন্ট পেত্রো পেরশেঙ্কোর সলিডারিটি দলের সদস্য ওলেগ বার্না ফুলের তোড়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যস্থলে যান। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়াটি দেন। প্রধানমন্ত্রী তোড়াটি ধরার সঙ্গে সঙ্গে বার্না তাঁর পায়ের নিচে হাত দিয়ে তাঁকে কোলে তুলে নেন এবং বক্তব্য দেওয়ার ডায়াস থেকে বাইরে নিয়ে আসেন।

আর এ নিয়ে পার্লামেন্টে শুরু হয় ধুন্ধুমার কাণ্ড। প্রধানমন্ত্রী আর্সেনেইয়ের দলের সদস্যরা ছুটে এসে বার্নাকে কিল-ঘুষি দেওয়া শুরু করেন। এ সময় উভয় দলের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট পেত্রো পেরশেঙ্কোর গায়েও কিল-ঘুষি পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির পার্লামেন্ট সদস্যরা। 

বেশ কয়েক মিনিট ধরে চলেছিল এই ধুন্দুমার মারামারি। পরে উভয় পক্ষের জ্যেষ্ঠ পার্লামেন্ট সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে অবশ্য এ ঘটনার জন্য দুই দলের সদস্যরাই সংসদে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে পুরো ঘটনাটির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে হাস্যরস করতে ভোলেননি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।