মধ্যপ্রাচ্যে আরো সেনা পাঠানোর প্রস্তাবে অস্ট্রেলিয়ার অনীহা

Looks like you've blocked notifications!
মধ্যপ্রাচ্যে আরো সেনা পাঠানোর যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ নাও রাখতে পারে অস্ট্রেলিয়া। ছবি : এবিসি ডট নেট

অস্ট্রেলিয়াকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সেনা পাঠানোর অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই অনুরোধ উপেক্ষা করে মধ্যপ্রাচ্যে আর কোনো সেনা না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএসের) সঙ্গে লড়তে অস্ট্রেলিয়াসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই সেনা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যারিসা পেইন দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিসিকে বলেন, আইএসের সঙ্গে লড়তে অস্ট্রেলিয়াসহ ৪০টি দেশের কাছে সেনাসহায়তা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তা চেয়ে ওই দেশগুলোর কাছে প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে।  

ম্যারিসা পেইন বলেন, ইরাক ও সিরয়ার পরিস্থিতির উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া অঙ্গীকারবদ্ধ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যও এই কাতারে শামিল হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়া এরই মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসবিরোধী যুদ্ধে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বধীন জোটে সহায়তা দেওয়ার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে তারা। তাই অঙ্গীকার পালনে যথেষ্ট কাজ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে অন্যান্য দেশের প্রতিক্রিয়ার জন্যও অপেক্ষা করবে অস্ট্রেলিয়া। পরে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেবে। তবে নতুন করে আরো সেনা পাঠানোয় আগ্রহ নেই কর্তৃপক্ষের।

এবিসি অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধবিমান মোতায়েন আছে। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আরো সেনা পাঠানোর অঙ্গীকার করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। আর চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়া ও ইরাকে আইএস লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট।

২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। এরই সুযোগ নিয়ে ইরাক থেকে সিরিয়ায় ছড়িয়ে গেছে ওই অঞ্চলভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। গত চার বছরের সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে দুই লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। আর গৃহহীন হয়েছে ৪০ হাজার মানুষ।