জলবায়ু চুক্তিতে চাপে পড়েছে টার্নবুল সরকার

Looks like you've blocked notifications!
প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ। ছবি : দি এজ

পরিবেশে রক্ষায় নীতি গ্রহণে অস্ট্রেলিয়ার টার্নবুল প্রশাসনের ওপর চাপ পড়েছে। প্যারিসে বিশ্বনেতারা জলবায়ু চুক্তিতে সম্মত হলেও অস্ট্রেলিয়ার কিছু নীতি দেশকে পিছিয়ে রেখেছে। নতুন জলবায়ুবিষয়ক খসড়া চুক্তি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় জীবাশ্ম জ্বালানি, কার্বন নির্গমনসহ বিভিন্ন পরিবেশদূষণের জন্য দায়ী কর্মকাণ্ড সীমিত করতে হবে।   

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘দি এজ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যারিসের জলবায়ুবিষয়ক খসড়া চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির মতে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশটির সরকারের পদক্ষেপ এখনো সীমিত। প্যারিসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আরো হালনাগাদ পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্যারিসে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ বলেন, জলবায়ুবিষয়ক ঐতিহাসিক খসড়া চুক্তি বাস্তবায়নে বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই কাজ করবে তার দেশ। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি কঠিন হলেও দেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর সমন্বয় করে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়া।

লেবার দলের পরিবেশবিষয়ক মুখপাত্র মার্ক বাটলার বলেন, পরিবেশবিষয়ক কিছু দপ্তর বিলুপ্তসহ প্রধানমন্ত্রী টার্নবুলের কয়েকটি নীতি প্যারিসে জলবায়ু চুক্তির পরিপন্থী। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অনেক পিছিয়ে। তাই সরকারের কিছু নীতিকে হালনাগাদ করা জরুরি।

পরিবেশবাদী গ্রুপগুলোর মতে, জলবায়ুবিষয়ক চুক্তি অনুযায়ী জীবাশ্ম জ্বলানির ইতি টানতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ ছাড়া চুক্তি অনুযায়ী, এই শতাব্দীর শেষভাগে কার্বন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন শূন্যের কোটায় আনতে হবে। এসব বিষয় বাস্তবায়ন করতে হলে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন উদ্যোগ নিতে হবে।

জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো প্রতিবছর অনুন্নত দেশগুলোর সরকারি ও বেসিরকারি খাতে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও প্রস্তাবিত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে ২০২৫ সালে।