জাতিসংঘের সিরিয়া শান্তি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ার সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের শান্তি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি একে ‘মাইলস্টোন’ দাবি করে বলেন, এই প্রস্তাব সিরিয়াকে শান্তি ও যুদ্ধের যেকোনোটি বেছে নেওয়ার সুযোগ দেবে।\
গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া সিরিয়ার শান্তি প্রস্তাবে আলোচনার জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর একটি সংযুক্ত সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে সিরিয়ায় ক্ষমতাসীন বাশার আল-আসাদ প্রসঙ্গে কিছু বলা হয়নি। তবে বাশারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনেকটাই নমনীয়। এ প্রসঙ্গে জন কেরি বলেন, দেশকে এক রাখার ক্ষমতা বাশারের নেই, তবে এই মুহূর্তে বাশারকে সরিয়ে নেওয়া হলে সংঘাত আরো দীর্ঘায়িত হবে।
পশ্চিমা দেশগুলো এখনো বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পক্ষে। তবে রাশিয়া ও চীন এর ঘোর বিরোধী। তাদের মতে, সে ক্ষমতায় থেকেও শান্তি আলোচনা হতে পারে। শান্তি প্রস্তাব অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমানে বাশারের ক্ষমতায় থাকার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। তবে সব পরিবর্তনের শেষে বাশারকে অবশ্যই ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে হবে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা ফ্যাবিয়াসের মতে, বাশার আল-আসাদের নির্বাচনে দাঁড়ানো গ্রহণযোগ্য হবে না। আর জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার দূত বাশার জাফরি বলেন, বাইরের থেকে শান্তি না প্রয়োগ করে বাশারের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি সিরীয়দের পছন্দ করে নিতে দেওয়া উচিত।
কী আছে সিরিয়া শান্তি প্রস্তাবে
রাজনৈতিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে জানুয়ারির শুরুতেই যুদ্ধবিরতি ও আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা আল নুসরা ফ্রান্টের মতো সন্ত্রাসবাদে অভিযুক্ত গোষ্ঠী আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে না।
সিরিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট ও রাশিয়ার ওপর হামলা অব্যাহত থাকবে।
জানুয়ারির ১৮ তারিখের মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনের কাছে অস্ত্রবিরতি বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে।
জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অসাম্প্রদায়িক ও গ্রহণযোগ্য একটি সরকার গঠিত হবে।
আগামী ১৮ মাসের মধ্যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজনৈতি যত পরিবর্তন হবে সবাই ঘটবে সিরীয়দের নেতৃত্বেই।