কেনিয়ায় খ্রিস্টান যাত্রীদের বাঁচালেন মুসলমানরা

Looks like you've blocked notifications!

কেনিয়ায় একটি বাসে চরমপন্থী হামলার সময় কয়েকজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর প্রাণ বাঁচিয়েছেন মুসলমান যাত্রীরা। স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির মান্দেরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, মান্দেরায় একটি যাত্রীবাহী বাস থামাতে বাধ্য করে আল-শাবাব জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। তারা বাসে উঠে খ্রিস্টান যাত্রীদের হত্যার কথা বলে মুসলমানদের পৃথক হতে বলে। তবে যাত্রীদের কেউই নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ করেনি।

ওই বাসটির যাত্রী আবদি মুহাম্মাদ আবদি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা কিছু অমুসলিমকে আমাদের ধর্মীয় চিহ্ন ধারণ করতে দিই, যাতে করে তাঁদের সহজে চিহ্নিত না করা যায়। তার পর আমরা একসঙ্গে শক্তভাবে বসেছিলাম।’

‘জঙ্গিরা আমাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। কিন্তু তার পরও আমরা আমাদের কথায় অনড় ছিলাম এবং আমাদের ভাইবোনদের রক্ষা করছিলাম। একপর্যায়ে তারা (আল-শাবাব) হাল ছেড়ে দিয়ে বাস থেকে নেমে যায়। কিন্তু যাওয়ার আগে বলে যায় যে তারা আবার আসবে’, যোগ করেন আবদি।

মান্দেরার গভর্নর আলী রোবার বরাত দিয়ে ‘ডেইলি নেশন’-এর খবরে বলা হয়, ওই বাসটিতে ৬২ যাত্রী ছিলেন। তাঁরা অমুসলিমদের আলাদা করে চিহ্নিত করতে অস্বীকৃতি জানান এবং জঙ্গিদের বলেন, হয় সবাইকে ছেড়ে দিতে হবে বা সবাইকে মেরে ফেলতে হবে। পুরো সময় ৬২ যাত্রী একসঙ্গে ছিলেন, কেউ কাউকে ছেড়ে যাননি।

এ সময় কাউকে হত্যা না করলেও বাসটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। এতে দুজন নিহত ও তিনজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে আবদিরশিদ আদান নামের আহত একজনের নাম প্রকাশ করে কেনিয়ার সরকার। হতাহত বাকি চারজন খ্রিস্টান না মুসলমান, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

তবে আল-শাবাবের মুখপাত্র শেখ আবদিআসিস আবু মুসাব রয়টার্সকে জানান, কয়েকজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী শত্রুকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।

মুসলমান যাত্রীরা খ্রিস্টানদের বাঁচিয়েছে—এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি মুসাব।

গত এপ্রিলে কেনিয়ার গারিসা ইউনিভার্সিটি কলেজে হামলা চালিয়ে ১৪৮ জনকে হত্যা করে আল-শাবাব। এঁদের বেশিরভাগই ছিলেন খ্রিস্টান।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুলি করার আগে ওই শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। গত বছরের ডিসেম্বরেও জঙ্গি হামলায় এক বাসের ২৮ অমুসলিম যাত্রী নিহত হয়েছিলেন।