ব্রুনেইয়ে নিষিদ্ধ হলো বড়দিনের উৎসব
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/12/22/photo-1450794314.jpg)
ব্রুনেইয়ের বড়দিন উৎসব (ক্রিসমাস) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তেলসমৃদ্ধ ছোট দেশটির কোনো নাগরিক বড়দিন পালন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর। মুসলমানদের বিশ্বাস নষ্ট হতে পারে এই কারণ দেখিয়ে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান। তবে অমুসলিমরা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সীমিত পরিসরে বড়দিন পালন করতে পারবেন।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, অবৈধভাবে বড়দিন পালনকারীকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে বলে ঘোষণা করেছেন ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ (৬৭)। এ জন্য কারাভোগও করতে হতে পারে। বড়দিন উৎসবের জন্য কোনো শুভেচ্ছা পাঠানো বা সান্তাক্লজের পোশাক পরাও নিষিদ্ধের মধ্যে পড়বে। আর ব্রুনেইয়ের অমুসলিমরা কিছু বিধিনিষেধ মেনে বড়দিন পালন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে, আগে থেকে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং বড়দিন পালন করতে হবে নিজেদের সমাজের মধ্যেই।
ব্রুনেইয়ের জনসংখ্যা চার লাখ ২০ হাজার, যার ৬৫ শতাংশই মুসলমান। বাকি ৩৫ শতাংশের মধ্যে আছে বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
এক বিবৃতিতে ব্রুনেইয়ের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূলত খোলা স্থানে বড় পরিসরে বড়দিন পালন বন্ধ করতেই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এমন উৎসবে বিশ্বাস নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন মুসলমানরা।
চলতি মাসের শুরুতে একদল ইমাম ঘোষণা করেন, ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন কোনো উৎসবে অংশ নিলে অসচেতনভাবেই মুসলমানদের বিশ্বাসে চিড় ধরতে পারে।
ব্রুনেইয়ের সংবাদমাধ্যম ‘বর্নিও বুলেটিনে’ বলা হয়, ব্রুনাইয়ের মুসলমানরাও বড়দিনের কিছু আয়োজনে অংশ নেন। এমন অংশগ্রহণ ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী বলে দাবি করেন ইমামরা।
এরই মধ্যে বড়দিন উৎসব নিষিদ্ধের বিরোধিতা করেছেন অনেক ব্রুনাইবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনমত গড়ে তুলতে তাঁরা #MyTreedom হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছেন।
ব্রুনেইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহ এর আগেও দেশে শরিয়া আইন চালু করে পশ্চিমা বিশ্বে সমালোচিত হন। ওই আইন চালুর ঘোষণা দেওয়ায় ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে সুলতানের মালিকানাধীন অনেক হোটেল বয়কট করেন অনেকে।