কুমিরের চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
কুমিরের চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চলতি বছরেই এই রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়টি কার্যকর হতে পারে। বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে দীর্ঘ কয়েক দশক অস্ট্রেলিয়ায় কুমির শিকারে কড়াকড়ি ছিল। তবে এই কয়েক দশকে কুমিরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সরকার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই কার্যকর হচ্ছে লোনা পানির কুমির ব্যবস্থাপনায় অস্ট্রেলিয়া সরকারের নতুন পরিকল্পনা (ডব্লিউটিএমপি)। অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের সরকার চামড়াসহ কুমিরের শরীরের অংশ থেকে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে চায়।
অস্ট্রেলিয়ার ভূমি ও ভূসম্পদ বিষয়কমন্ত্রী উইলিয়াম ওয়েস্ট্রা এক বিবৃতিতে বলেন, ডব্লিউটিএমপি অনুযায়ী বছরে ৯০ হাজার ডিম এবং এক হাজার ২০০ বেশি কুমির রপ্তানির পণ্যের জন্য আলাদা করা হবে। পাঁচ বছরব্যাপী এই পরিকল্পনায় ডিমে আগের চেয়ে বেড়েছে ৪০ শতাংশ এবং প্রাণীতে বেড়েছে ১০০ শতাংশ।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, প্রতিবছর আলাদা করা ডিম খামারে এনে বাচ্চা ফোঁটানো হবে। আর জীবিত কুমির আরো বাচ্চা ফোঁটানোর কাজে ব্যবহার করা হবে অথবা এর শরীরের বিভিন্ন অংশ প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা হবে।
জানা গেছে, প্রতিবছর প্রকৃতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া বা বাসিন্দাদের রক্ষায় মেরে ফেলা কুমিরের চামড়া বেঁচেই যথেষ্ট আয় করে স্থানীয় সরকার।
হুমকির মুখে থাকায় ১৯৭১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় কুমির রক্ষা আইন কার্যকর হয়। এর পর থেকেই নিয়ন্ত্রণে ছিল কুমির শিকার।