টিউলিপের সমালোচনা, তোপের মুখে ডেপুটি স্পিকার

Looks like you've blocked notifications!
টিউলিপ সিদ্দিক (বামে) এবং ডেপুটি স্পিকার ইলিয়েনর লাইং (ডানে)। ছবি : দ্য টেলিগ্রাফ

গর্ভাবস্থাকে ‘তুরুপের তাস’ হিসেবে ব্যবহার না করতে টিউলিপ সিদ্দিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সের ডেপুটি স্পিকার ইলিয়েনর লাইং। বুধবার অধিবেশনে বক্তব্য রাখার পর খাবার খেতে যাওয়ার জন্য এমন আহ্বান জানান ইলিয়েনর।

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার একমাত্র মেয়ে। তিনি বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য। যুক্তরাজ্য নিউ হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি ছায়া মন্ত্রিসভারও সদস্য তিনি।

এই মুহূর্তে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ৩৩ বছর বয়সী টিউলিপ। দুই ঘণ্টার বেশি সময় অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর কিছু খাওয়ার জন্য বিরতি নেন তিনি। ৪৫ মিনিট পর বিরতি থেকে ফিরে এলে ডেপুটি স্পিকার টিউলিপকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি (টিউলিপ) নারীদের খারাপ হিসেবে উপস্থাপন করছেন।

টিউলিপকে সতর্ক করে দিয়ে ইলিয়েনর বলেন, ‘আপনি সমগ্র নারী জাতিকে নিচে নামিয়ে এনেছেন।’

ঘটনার দিন স্পিকারের চেয়ারে বসে ইলিয়েনর বলেন, ‘যদি চেম্বারে কেউ বক্তব্য দেন তাহলে এটা হাউজের নিয়ম যে এর সদস্যরা চেম্বারেই অবস্থান করবেন। সাধারণত চেম্বারের দুজনের বক্তব্য অবশ্যই শুনতে হয়। তবে আজ এ কাজ কেউ কেউ করেননি।’

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা জানিয়েছে, ৪৫ মিনিট পর টিউলিপ সিদ্দিক হাউস অব কমন্সে ফিরে এলে ইলিয়েনর তাঁকে ডেকে এসব কথা বলেন। জবাবে হাউসে না থাকার জন্য ক্ষমা চান টিউলিপ। তবে তিনি নিজের গর্ভাবস্থার প্রসঙ্গে কোনো কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু এরপরও ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আমার সঙ্গে গর্ভাবস্থাকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহারের খেলা খেলবেন না।’

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আপনার এই আচরণের কারণে সবাই ভাববে নারীরা গর্ভাবস্থার দোহাই দিয়ে হাউস অব কমন্সের নিয়ম ভঙ্গ করছেন। আপনি এর মাধ্যমে গোটা নারী জাতিকে নিচে নামিয়ে এনেছেন।’

এ বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘আমি মনে করি হাউজ অব কমন্সের নিয়মগুলো অনেক পুরোনো। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী বা শারীরিক সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের জন্যও নিয়মটি আধুনিক নয়। এর ফলে অনেক প্রশাসনিক জটিলতার মুখে পড়তে হয়। তা ছাড়া এটি সাধারণ জ্ঞানের বিষয়।’

তবে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি টিউলিপ। অবশ্য হাউস অব কমন্সে সেই সময় উপস্থিত থাকা অনেক এমপিই ডেপুটি স্পিকারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের কারণেই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়।