‘সুবিধার জন্য একটি ই-মেইল’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, কাজের সুবিধার জন্যই ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে তিনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সম্পাদন করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘে নারী অধিকারবিষয়ক একটি ভাষণের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
রয়টার্স-এর খবরে বলা হয়, ব্যক্তিগত ই-মেইলের মাধ্যমে সরকারি নথিভুক্ত কোনো বিষয় ফাঁস করেননি বলে দাবি করেন হিলারি। ওই ই-মেইল ব্যবহার করে কোনো আইন লঙ্ঘন করেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘে প্রায় ২০০ সাংবাদিকের সামনে হিলারি বলেন, ‘আমি কাজের সুবিধার্থে ব্যক্তিগত ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেছি, যাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছিল। আমি মনে করেছিলাম, দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে একটি ডিভাইস (যন্ত্র) ব্যবহার করলে কাজ সহজ হবে। তাই দুটি ই-মেইল ব্যবহার করিনি।’ এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘তবে আমার এ-ও মনে হয়, দ্বিতীয় ফোন ব্যবহার করে আরেকটি অ্যাকাউন্ট চালালে ভালো হতো।’
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের ভাবী প্রার্থী মনে করা হচ্ছে হিলারি ক্লিনটনকে। কিছুদিনের মধ্যে তাঁর নির্বাচনী প্রচারে নামারও কথা আছে। কিন্তু এ সময়ে এসে ই-মেইল বিতর্ক তাঁর প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে নিউইয়র্ক এলাকার নিজ বাসভবনে থাকা সার্ভার থেকে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করেছেন হিলারি। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কূটনীতিক হিসেবে তিনি এটা করতে পারেন না বলে নিন্দা করেছেন সমালোচকরা। তাঁদের মতে, ক্ষমতায় থাকাকালে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় গোপন করেছেন হিলারি। এর মাধ্যমে ওই সময়ে তাঁর ব্যবহৃত চিঠিগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলেছিলেন তিনি।