রিপাবলিকান প্রার্থিতার দৌড়ে জেব বুশ
হোয়াইট হাউসে যাওয়ার জন্য তৃতীয়বার আর লড়তে চান না মিট রমনি। সরে গেছেন। এর পর থেকেই প্রশ্ন ওঠে, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের প্রার্থী তাহলে কে হবেন? তবে প্রশ্ন উঠতে না-উঠতেই মাঠে হাজির হয়েছেন সাবেক ফ্লোরিডার গভর্নর জেব বুশ।
আগে থেকেই প্রার্থী বেছে নেওয়ার ঐতিহ্য রিপাবলিকানদের। এই প্রার্থীই প্রায় সব সময় মনোনয়ন পেয়ে থাকেন, যদিও লড়াই ছাড়াই মাঝপথে বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে যায়।
অনেক রিপাবলিকানের ধারণা, গত কয়েক দশকের মধ্যে এবার প্রার্থিতা নিয়ে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। লড়াইয়ে আছেন উইসকনসিন গভর্নর স্কট ওয়াকার, নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি, সিনেটর টেড ক্রুজ, উদারবাদী সিনেটর র্যান্ড পল, আরকানসাসের সাবেক গভর্নর মাইক হুকাবি ও পেনসিলভানিয়ার সাবেক সিনেটর রিক স্যান্টোরাম। আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী বুশের ফ্লোরিডার ক্যারিশমাটিক সিনেটর মার্কো রুবি।
জেব বুশ এরই মধ্যে দুর্দান্ত তহবিল সংগ্রহকারী বাহিনী ও মেধাবীদের জড়ো করেছেন। এর মধ্যে আছেন আইওয়া অঙ্গরাজ্যের শীর্ষ নীতিনির্ধারক ডেভিড কোচেল। তাঁকে তাঁর জাতীয় ক্যাম্পেইন ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। গত শুক্রবার মিট রমনির সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর এ প্রক্রিয়া জমতে শুরু করেছে।
২০১২ সালে রমনির অর্থ সংগ্রহকারী দলের নেতৃত্বে থাকা ব্রায়ান ব্যালার্ড বলেন, ‘আমার মনে হয়, অর্থদাতাদের ৭৫ শতাংশই জেবের সঙ্গে রয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশের ওপরও এটি প্রভাব ফেলবে।’
শিকাগোর বেসরকারি অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বিল কুনক্লার ও তাঁর স্ত্রী সুসান ক্রাউনকে ২০১৬ সালে রমনির জন্য শীর্ষ অর্থ সংগ্রহকারী হিসেবে ধারণা করা হচ্ছিল। কুনক্লার বলেন, ‘এখন কেবল জেবের জন্যই আমি ও আমার স্ত্রী কাজ করব। যদি জেব না হয়, আমরা আর নেই। হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি, জেবই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার পরীক্ষায় কৃতকার্য হবেন, আমরা সবাই তার সঙ্গে থাকব।’
বুশের সবচেয়ে বড় ও জরুরি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিজেকে ভোটারদের কাছে প্রমাণ করা, যারা তাঁকে তাঁর নামের শেষের অংশ দিয়ে চেনে। বাবা সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ ও ভাই জর্জ ডব্লিউ বুশ।